Home চট্টগ্রাম সংঘর্ষ মামলার আসামি মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার

সংঘর্ষ মামলার আসামি মহিলা লীগ নেত্রী গ্রেপ্তার

জিনাত সোহানা চৌধুরী

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চট্টগ্রাম: নগরীর বায়েজিদ এলাকা থেকে সোমবার (১৩ মে) দিবাগত রাত একটার দিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের নেত্রী অ্যাডভোকেট জিনাত সোহানা চৌধুরীকে।  তিনি গত বছরের ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘটিত একটি সংঘর্ষ মামলার এজাহারভুক্ত আসামি।

বায়েজিদ বোস্তামী থানা পুলিশ তাকে তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে কোতোয়ালী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের একাধিক সূত্র জানিয়েছে। জিনাত সোহানার বিরুদ্ধে কোতোয়ালী থানায় হওয়া একটি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা ছিল।

২০২৩ সালের ৪ ডিসেম্বর আদালত চত্বরে পুলিশের সঙ্গে চিন্ময় কৃষ্ণ ব্রহ্মচারীর অনুসারীদের সংঘর্ষের ঘটনায় কোতোয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন ব্যবসায়ী মোহাম্মদ উল্লাহ চৌধুরী। মামলায় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, আওয়ামী লীগ ও ইসকনের ২৯ জন নেতার নাম উল্লেখ করা হয়। পাশাপাশি, আরও ৪০-৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি হিসেবে দেখানো হয়েছে। সেই মামলায় জিনাত সোহানা একজন এজাহারভুক্ত আসামি।

জিনাত সোহানা দীর্ঘদিন ধরে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। তিনি বর্তমানে দলটির আইনবিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। অতীতে তিনি ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির কার্যকরী সদস্য, অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর, এবং বেসরকারি কারা পরিদর্শক। এছাড়া তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) সদস্য, ফারমিন গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান, চট্টগ্রাম চেম্বার অব কমার্স এবং বিজিএমইএর সদস্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

 তিনি সুচিন্তা ফাউন্ডেশনের চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করছিলেন। সংগঠনটির চেয়ারম্যান হলেন সাবেক তথ্য প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা মোহাম্মদ এ আরাফাত। জিনাত সোহানা তার ঘনিষ্ঠ হিসেবে পরিচিত। আওয়ামী লীগ সরকারের মেয়াদে মাদরাসাভিত্তিক জঙ্গিবাদবিরোধী প্রচারণায় সক্রিয় থাকায় একসময় আলোচনায় আসেন তিনি।

তার স্বামী মোহাম্মদ ইমরান বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং অতীতে সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। সর্বশেষ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনিও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ছিলেন।

চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, জিনাত সোহানার বিরুদ্ধে মামলার তদন্ত প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।