হেলথ ডেস্ক:
এশিয়ার কয়েকটি দেশে আবারও উদ্বেগ বাড়াচ্ছে করোনাভাইরাসের নতুন রূপ জেএন-১। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি আগের তুলনায় বেশি সংক্রামক এবং কিছু ক্ষেত্রে উপসর্গহীন থাকায় শনাক্ত করাও কঠিন হচ্ছে। ফলে এশিয়া মহাদেশে একে কেন্দ্র করে নতুন করে সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারত, মালয়েশিয়া, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং দক্ষিণ কোরিয়ায় সম্প্রতি জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে বলে স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ভারতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত তিন সপ্তাহে দেশটির কয়েকটি রাজ্যে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা তিন গুণ বেড়েছে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রে নমুনা পরীক্ষায় জেএন-১ ধরা পড়েছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই ধরনটি ওমিক্রনের একটি উপধরন হলেও এতে কিছু জেনেটিক পরিবর্তন ঘটেছে যা ভাইরাসটিকে আরও দ্রুত ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করছে। যদিও এখন পর্যন্ত এটি প্রাণঘাতী নয় বলেই মনে করা হচ্ছে, তবে বয়স্ক, শিশু ও দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্তদের জন্য এটি বিপজ্জনক হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু) ইতোমধ্যে জেএন-১ ভ্যারিয়েন্টকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অব ইন্টারেস্ট’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। সংস্থাটি জানিয়েছে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী কোভিড সংক্রমণের একটি বড় অংশ এই ধরনের মাধ্যমে ঘটছে এবং এশিয়া অঞ্চল সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, কোভিডের জেএন.১ ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের উপজাতি। BA.2.86 (Pirola) স্ট্রেন থেকে এটির উৎপত্তি। কোভিডের এই ভ্যারিয়েন্ট থেকেও দ্রুত ছড়ায় সংক্রমণ। নতুন এই প্রজাতির সঙ্গে ওমিক্রনের মিল রয়েছে। একাধিকবার চরিত্র বদলে আত্মপ্রকাশ করেছে জেএন.১। এই সংক্রমণ যেমন দ্রুত ছড়ায়, তেমনই প্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেক বেশি।
মালয়েশিয়ায় ইতোমধ্যে পুনরায় মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। সিঙ্গাপুর ও থাইল্যান্ডে বয়স্কদের বাড়তি ডোজ টিকা দেওয়ার কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা সাধারণ জনগণকে আতঙ্কিত না হয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “হাত ধোয়া, মাস্ক পরিধান, জনসমাগম এড়িয়ে চলা এবং অসুস্থতা বোধ করলে দ্রুত পরীক্ষা করানো এখনো সবচেয়ে কার্যকর প্রতিরোধ ব্যবস্থা।”