নিউ ইয়র্কের মালয়েশিয়ান কনস্যুলেট সম্প্রতি এক অনন্য সন্ধ্যার সাক্ষী হয়ে থাকল। সম্প্রতি “An Evening with Heerraa” শিরোনামে আয়োজিত এক অন্তরঙ্গ সংগীতানুষ্ঠানে দর্শক-শ্রোতারা ডুবে গিয়েছিলেন মালয়েশিয়ান আন্তর্জাতিক সংগীতশিল্পী হীরা’র কণ্ঠে ও গানে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, একাধিক আন্তর্জাতিক পুরস্কারপ্রাপ্ত সংগীতশিল্পী এবং গ্র্যামি অ্যাওয়ার্ডসের ভোটিং সদস্য হীরা তার কণ্ঠে মিশ্রণ ঘটিয়েছিলেন নিজের জনপ্রিয় গান ও নতুন অপ্রকাশিত সৃষ্টিগুলোর। গানের প্রতিটি কথা যেন শ্রোতাদের হৃদয়ে গিয়ে পৌঁছায়এমনই আবেগ ও আন্তরিকতায় গেয়েছিলেন তিনি। তার শক্তিশালী পরিবেশনা শেষ হলে শ্রোতারা দাঁড়িয়ে অভিবাদন জানায়, এবং পরে তাকে আবার গাওয়ার অনুরোধ জানায়।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই মালয়েশিয়ার নিউ ইয়র্কস্থ কনসাল জেনারেল আমির ফারিদ বলেন, “আমি তাকে ৫৪ বেলোতে প্রথম শুনেছিলাম, তখন থেকেই আমি মুগ্ধ। এমন কণ্ঠস্বর আর মুগ্ধকর পরিবেশনার মাধ্যমে একজন মালয়েশিয়ানের সাফল্য দেখে আমি গর্ব অনুভব করি। তাই চেয়েছিলাম এই প্রতিভাকে নিউ ইয়র্কের প্রবাসী মালয়েশিয়ানদের সামনে তুলে ধরতে।”
এই সংগীত সন্ধ্যায় শুধু গানই নয়, মালয়েশিয়ার ঐতিহ্যবাহী আতিথেয়তাও স্থান পায়। অতিথিদের পরিবেশন করা হয়েছিল সাটে আইয়াম ও মি গোরেং-এর মতো জনপ্রিয় খাবার। পুরো পরিবেশটাই হয়ে উঠেছিল উষ্ণ, আন্তরিক ও ঘরোয়া।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হীরা’র পারফরম্যান্স নিয়ে ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া ছড়িয়ে পড়ে। অনেকে তার গায়কী, গানের ধরন এবং অনবদ্য মঞ্চমুখীনতার ভূয়সী প্রশংসা করেন। মালয়েশিয়ার আন্তর্জাতিক সংগীতজগতের উজ্জ্বল প্রতিনিধি হিসেবে তাকে তুলে ধরেন নেটিজেনরা।
সংগীতের পাশাপাশি সমাজ গঠনে হীরা’র আগ্রহও নজরকাড়া। ২০১৫ সালে তিনি সহ-প্রতিষ্ঠা করেন ‘অ্যাসেনডেন্স’ নামের এক জেন-জি নেতৃত্বাধীন প্রতিষ্ঠান, যা ইতোমধ্যেই ২৬টি দেশে ৫৫ হাজারেরও বেশি শিক্ষার্থীর ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় এক্সটেনশনে পড়াশোনা চালিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি ডিনস লিস্টে জায়গা করে নেওয়া এই শিল্পীর আগামী দিনে নতুন গান প্রকাশের পরিকল্পনাও রয়েছে। তার সংগীত ও সামাজিক কাজ মিলিয়ে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হয়ে উঠছেন হীরা, যিনি এখন কেবল মালয়েশিয়ার নয়, গোটা বিশ্বের শ্রোতাদের হৃদয়ে স্থান করে নিচ্ছেন।