এভিয়েশন ডেস্ক:
চীনের বৃহত্তম জল-স্থল উভয় পরিবেশে চলাচলক্ষম বিমান এজি৬০০’ প্রথমবারের মতো অভিযোজনমূলক উড্ডয়ন সম্পন্ন করেছে উত্তর-পূর্ব চীনের হেইলংজিয়াং প্রদেশের গ্রেটার খিঙ্গান পর্বতমালায়। বৃহস্পতিবার ভোরে প্রায় দুই ঘণ্টাব্যাপী এই ফ্লাইটটি পরিচালিত হয়। এর মাধ্যমে ওই অঞ্চলের ভূপ্রকৃতি ও জলবায়ুর সঙ্গে বিমানটির পরিচিতি গড়ে তোলার কাজ শুরু হয়।
চীনের নিজস্বভাবে নির্মিত এই বিমানটি জরুরি উদ্ধার, অগ্নিনির্বাপন এবং পরিবেশগত তদারকিসহ বহু ধরনের মানবিক মিশনে ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে। বিমানটি সর্বোচ্চ ৬০ টন ওজনসহ উড্ডয়ন করতে পারে এবং একসঙ্গে ১২ টন পানি বহন করে প্রায় চার হাজার বর্গমিটার এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে দিতে সক্ষম। এতে জরুরি পরিস্থিতিতে প্রায় ৫০ জনকে উদ্ধার করার ব্যবস্থাও রয়েছে।
চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এজি ৬০০ সম্প্রতি আরও কিছু প্রযুক্তিগত পরীক্ষা সফলভাবে সম্পন্ন করেছে। এর মধ্যে রয়েছে পার্শ্বীয় বাতাসের মধ্যে ভূমি থেকে ওঠানামার সক্ষমতা যাচাই এবং বিভিন্ন উচ্চতায় স্থিতিশীলতা মূল্যায়ন। এসব পরীক্ষার ফলাফল বিমানটির অভিযোজনক্ষমতা, নিরাপত্তা এবং নির্ভরযোগ্যতা আরও সুদৃঢ় করেছে।
২০২৫ সালের এপ্রিল মাসে বিমানটি চীনের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে টাইপ সার্টিফিকেট লাভ করে। এর মাধ্যমে এজি ছয় শ’ বাণিজ্যিক উৎপাদন ও ব্যবহার উপযোগী হিসেবে স্বীকৃতি পায়। চলতি বছরের আগস্ট নাগাদ উৎপাদনের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার আশা করা হচ্ছে এবং অক্টোবরের মধ্যে প্রথম ইউনিট সরবরাহ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে বিমানটি হেইলংজিয়াং অঞ্চলের জিয়াগেদাকি বিমানঘাঁটিতে অবস্থান করছে। এখান থেকেই ভবিষ্যতে বন সংরক্ষণ, তদারকি এবং জরুরি পরিবেশগত কার্যক্রমে এটি ব্যবহৃত হবে বলে জানানো হয়েছে।
এই অভিযোজন ফ্লাইটের মাধ্যমে চীনের এই প্রযুক্তির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনায় দেশের সক্ষমতা বৃদ্ধিতে তা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবে বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল।
✈️ আপনি কি জানতেন চীনের এজি ছয় শ’ বিমান একসঙ্গে ১২ টন পানি ছিটাতে পারে? নিচে কমেন্টে জানান, আপনার কী মত এই প্রযুক্তি নিয়ে।
📲 প্রতিবেদনটি শেয়ার করুন তাদের সঙ্গে, যারা বৈশ্বিক প্রযুক্তি ও প্রতিরক্ষা খাতের খবর জানতে পছন্দ করেন।
🌐 আরও এমন প্রতিবেদন পেতে নজর রাখুন বিজনেসটুডে২৪.কম–এর আকাশপথ বিভাগে।










