মামলার এজাহারে তরুণী উল্লেখ করেন, ২০২২ সালের ডিসেম্বরে একটি ফেসবুক আইডি থেকে বন্ধুত্বের অনুরোধ পাঠান সাইফুল রাফা। পরে তারা হোয়াটসঅ্যাপ ও মোবাইল ফোনে নিয়মিত যোগাযোগ করতে থাকেন। কিছুদিনের মধ্যেই রাফা প্রেমের প্রস্তাব দেন এবং বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
অভিযোগ অনুসারে, ২০২৩ সালের ৫ অক্টোবর ওই তরুণী রাফার আমন্ত্রণে ঢাকার বাসা থেকে যশোরে আসেন। মণিহার সিনেমা হল এলাকায় রাফা তাকে নিয়ে যান যশোর আইটি পার্কে। সেখানে সন্ধ্যায় একটি কক্ষে তরুণীকে ধর্ষণ করেন এবং গোপনে তাদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিও ধারণ করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।
পরবর্তীতে ভিডিও ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে রাফা তার কাছ থেকে বিভিন্ন সময় আট লাখ দশ হাজার টাকা আদায় করেন বলে মামলায় দাবি করা হয়। এর মধ্যে দুই লাখ টাকা ইসলামী ব্যাংকের যশোর শাখায়, আরও প্রায় তিন লাখ টাকা বিকাশ ও অন্যান্য মাধ্যমে এবং সরাসরি রাফার হাতে তিন লাখ দশ হাজার টাকা প্রদান করেছেন বলে উল্লেখ করেন ভুক্তভোগী।
মামলায় আরও বলা হয়, ২৩ মে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ভুক্তভোগী তরুণী তার এক বান্ধবীকে নিয়ে রাফার শংকরপুর এলাকার বাসায় যান। সেখানে রাফার বাবা-মা বিষয়টি সমাধানের আশ্বাস দিলেও রাফা তার বন্ধুদের মাধ্যমে মোবাইলে হুমকি দেন এবং তরুণীকে সেখান থেকে বের করে দেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা সাইফুল রাফা দাবি করেন, “তরুণীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক ছিল সত্য, তবে তার অন্য একজনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে বিষয়টি জানার পর যোগাযোগ বন্ধ করে দিই। অন্যসব অভিযোগ ভিত্তিহীন ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।”
যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল হাসনাত খান বলেন, “ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।”
📣 এই ধরনের গুরুত্বপূর্ণ খবর পড়তে আমাদের সঙ্গে থাকুন!
নতুন নতুন আপডেট, নির্ভরযোগ্য তদন্ত প্রতিবেদন ও ঘটনার পেছনের সত্য জানতে ভিজিট করুন বিজনেসটুডে২৪.কম – আপনার বিশ্বস্ত সংবাদ মাধ্যম।
✅ সত্যের অনুসন্ধানে প্রতিদিন
📱 ফলো করুন আমাদের ফেসবুক পেজ ও সাবস্ক্রাইব করুন নিউজ এলার্ট পেতে