বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, চুয়াডাঙ্গা: সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছিল। হাপানিয়ার রাস্তা ধরে মোটরসাইকেলে করে ফিরছিল সজীব হোসেন। মাত্র ১৭ বছর বয়স। জীবনের শুরুতে স্বপ্নে ভরা চোখে দেখছিল ভবিষ্যৎ। কিন্তু সেই পথ আর শেষ হলো না। ভয়ানক এক সংঘর্ষে ঝরে গেল তাঁর জীবন।
শনিবার (১ জুন) চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার হাপানিয়া এলাকায় মুখোমুখি দুটি মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে প্রাণ হারায় সজীব। একই ঘটনায় গুরুতর আহত হন আরও তিন তরুণ।
সজীবের বাড়ি আলমডাঙ্গার ভাংবাড়িয়া গ্রামে। পিতা-মাতার একমাত্র সন্তান তিনি। স্থানীয় এক কলেজের একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। পাড়ার মসজিদের মুয়াজ্জিন হিসেবেও পরিচিত ছিল ছেলেটি।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকেলের শেষভাগে দুটি মোটরসাইকেল বিপরীত দিক থেকে আসছিল খুব দ্রুত গতিতে। হাপানিয়ার মোড়ে এক ভয়াবহ ধাক্কায় উল্টে পড়ে যায় দুটি গাড়ি। রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন চার তরুণ। স্থানীয়রা ছুটে এসে উদ্ধার করেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা সজীবকে মৃত ঘোষণা করেন। বাকি তিনজনের মধ্যে একজনকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রাজশাহী মেডিকেলে পাঠানো হয়।
সজীবের মায়ের কান্নায় ভারি হয়ে উঠেছে ভাংবাড়িয়া গ্রামের বাতাস। তাঁর আহাজারি থামানো যাচ্ছে না- “ছেলেটা তো একটু বাইরেই গেছিল, ফিরে আসবে বলে! ওর হাতে গরম ভাত তুলে দেওয়ার কথা ছিল… অথচ এখন ওকে তুলে দিল হাসপাতালের মর্গে…”
পাড়ার মানুষ বলছেন, সজীব নম্র-ভদ্র এবং মেধাবী ছেলে ছিল। পড়াশোনার পাশাপাশি পরিবারকেও সহযোগিতা করত। গ্রামের মসজিদে আজান দিত, কোরআন পড়ত। এমন একটি প্রাণ অকালেই হারিয়ে যাওয়ায় শোকের ছায়া নেমেছে পুরো এলাকায়।
আলমডাঙ্গা থানার ওসি আলমগীর কবীর জানান, “বেপরোয়া গতিই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।”
এই একটি দুর্ঘটনা শুধু একটি প্রাণই নয়, ভেঙে দিয়েছে এক পরিবার, ছিন্ন করেছে এক মায়ের বুকভরা স্বপ্ন।
🕯️ কিশোর সজীবের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।
🚧 তরুণদের সচেতন করুন, বেপরোয়া গতিই কেড়ে নিচ্ছে তরতাজা প্রাণ।
📲 মানবিক প্রতিবেদন ও বাস্তব গল্প জানতে নিয়মিত পড়ুন বিজনেসটুডে২৪.কম