আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
আরাফাহ দিবসে হাজিদের প্রতি বিশেষ সতর্কতা জারি করেছে সৌদি আরবের হজ ও ওমরাহ মন্ত্রণালয়। তীব্র গরমের কারণে চলতি বছরের হজে আরাফাহ ময়দানে অবস্থানকালে হাজিদের সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাবুতে থাকার আহ্বান জানানো হয়েছে। সেই সঙ্গে জাবাল আর রাহমা বা নামিরা মসজিদের দিকে ভ্রমণ না করার পরামর্শও দেওয়া হয়েছে।
সৌদি আরবে চলতি মৌসুমে তাপমাত্রা ৪৫ থেকে ৪৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত পৌঁছাতে পারে বলে পূর্বাভাস রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে হজ পালনরত মুসল্লিদের শরীর অতিরিক্ত উত্তাপের শিকার হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে। অতীতের অভিজ্ঞতা অনুযায়ী এই সময়টিতেই আরাফাহ ময়দানে সবচেয়ে বেশি হিটস্ট্রোক ও গরমজনিত রোগ দেখা দেয়।
মন্ত্রণালয় জানায়, ‘আল্লাহর ঘরের মেহমানদের নিরাপত্তা ও স্বাস্থ্যের কথা বিবেচনায় আমরা সবাইকে অনুরোধ করছি যে, আরাফার দিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তাঁবুতে অবস্থান করুন। অনুগ্রহ করে সরাসরি রোদে হেঁটে জাবাল আর রাহমা বা নামিরা মসজিদে যাবেন না।’
হজের অন্যতম প্রধান অংশ আরাফাহ দিবসে হাজিরা আরাফাহের ময়দানে সমবেত হয়ে আল্লাহর দরবারে কায়মনোবাক্যে দোয়া করেন। কেউ কেউ রীতি অনুসারে জাবাল আর রাহমায় যান, যেটি বিশ্বাস অনুযায়ী হজরত আদম ও হাওয়ার পুনর্মিলনের স্থান। কেউ কেউ নামিরা মসজিদে জুমার নামাজ আদায় করেন। তবে এবার ভিন্ন চিত্র দেখা যেতে পারে, কারণ সৌদি সরকার হাজিদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসব স্থানে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, দীর্ঘক্ষণ খোলা আকাশের নিচে দাঁড়িয়ে থাকা বা হাঁটা শারীরিকভাবে দুর্বল হাজিদের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে। ফলে সরকারিভাবে হাজিদের যথাসম্ভব ছায়াযুক্ত ও শীতল পরিবেশে থাকার জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
মন্ত্রকের বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, ‘আপনারা যদি তীব্র রোদ ও গরম থেকে বাঁচতে চান, তাহলে সকাল ১০টার আগেই প্রয়োজনীয় কাজ শেষ করে তাবুতে ফিরে আসুন এবং বিকেল ৪টা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এতে করে শরীর ক্লান্ত হবে না এবং আপনি হজের মূল আনুষ্ঠানিকতাগুলো শান্তিপূর্ণভাবে পালন করতে পারবেন।’
সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সৌদি সরকার এই সময় বিভিন্ন তাবুতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা, পানির সরবরাহ এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করেছে। হাজিদের জন্য ছাতা, পর্যাপ্ত পানীয় জল এবং হালকা খাবারের ব্যবস্থাও রাখা হয়েছে।
এই নির্দেশনার ফলে হয়তো এ বছর অনেক হাজি ঐতিহাসিক স্থানগুলোতে সরাসরি যেতে পারবেন না, তবে তাঁদের শারীরিক সুস্থতা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করাই এখন সবচেয়ে বড় বিষয়।
👍 লাইক করুন | 🔁 শেয়ার করুন
📢 আপনার পরিচিত কেউ হজে ? অনুগ্রহ করে এই গুরুত্বপূর্ণ সতর্কবার্তাটি তাঁদের সঙ্গে শেয়ার করুন।