আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
ভারতের রাজস্থানের শান্ত শহর বারাণ, যেখানে কেউ ভাবতেও পারেনি এমন এক নারকীয় ঘটনা উন্মোচিত হবে। জয়পুর থেকে প্রায় ৩০০ কিলোমিটার দূরে, এক নিঃশব্দ আতঙ্কের ঠিকানা হয়ে উঠেছিল একটি ছোট্ট গ্রাম। আর সেই আতঙ্কের কেন্দ্রে ছিল এক ছোট্ট মেয়ে, মাত্র চার বছরের ঈশিকা।
ঈশিকার মা রোশনবাই, জয়পুরে লিভ ইন সম্পর্কে ছিলেন একাধিক অপরাধে অভিযুক্ত মহাবীর বৈরওয়ার সঙ্গে। গত সপ্তাহে তাঁরা হঠাৎ নিখোঁজ হন। সঙ্গে ছিল একটি প্যাকেট, যা বোঝা যায়নি তখন কিসের।
পুলিশ জানায়, জয়পুরের ভাড়া বাড়িতে রোশনবাই ও মহাবীরের মধ্যে হঠাৎ তীব্র বচসা বাধে। সেই উত্তপ্ত মুহূর্তেই মৃত্যু ঘটে ঈশিকার। কীভাবে, কেন তা এখনও অস্পষ্ট। কিন্তু যেটা স্পষ্ট, তা হলো ঈশিকার মৃত্যুর পর মায়ের কোলে জায়গা হয়নি, জায়গা হয়েছে একটি প্লাস্টিকের ব্যাগে। কাপড়ে মুড়ে সেই মৃতদেহকে নিয়ে দুজনে রওনা দেন মহাবীরের গ্রামের দিকে।
বারাণে পৌঁছে একটি আলমারির ভিতর রেখে দেওয়া হয় ঈশিকার দেহ। কেউ টের পায়নি। তবে গত শনিবার ঘরের সেই নিরব কোণ থেকে বেরোতে শুরু করে এক অসম্ভব গন্ধ। সন্দেহ হয় মহাবীরের বাবা জয়রাম বৈরওয়ার। আলমারি খুলতেই রক্তমাখা ব্যাগ থেকে বেরিয়ে আসে ছোট্ট ঈশিকার নিথর দেহ।
খবর পৌঁছয় পুলিশে। মুহূর্তেই গ্রেপ্তার করা হয় মহাবীরকে।
তিনি সেই ব্যক্তি, যার নামে ১৫টিরও বেশি অপরাধের মামলা রয়েছে, খুন, ডাকাতি, চুরি, মারধর এমনকি ২০২২ সালে এক কৃষককে খুনের দায়ে সাজা হয়, এক বছর আগে জামিনে ছাড়া পান।
আর ঈশিকা ছিল রোশনবাইয়ের প্রথম স্বামী রবীন্দ্র বৈরওয়ার কন্যা। বিগত সাত মাস ধরে সে মায়ের সঙ্গেই ছিল জয়পুরে।
এই মুহূর্তে রোশনবাই পলাতক। তাঁকে খুঁজতে চিরুনি তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। শিশুটির ময়নাতদন্ত চলছে, তদন্ত চলছে রহস্য ও হৃদয়বিদারক বাস্তবের ভিতর দিয়ে।
এই ঘটনা শুধু একটি অপরাধ নয়, এ এক সমাজের মুখোশ খুলে দেওয়া নির্মম চিত্র। যেখানে ভালোবাসার ছায়ায় লুকিয়ে থাকে অন্ধকার, আর ছোট্ট এক শিশুর পৃথিবী থেমে যায় মায়ের চোখের সামনে নিঃশব্দে।
📣 আপনি কী ভাবছেন? মন্তব্যে জানান, এই সমাজে ঈশিকাদের জন্য আমাদের দায়িত্ব কতটা