আন্তর্জাতিক ডেস্ক:
বিশ্বের সবচেয়ে শক্তিশালী এবং দূরপাল্লার স্নাইপার রাইফেলগুলোর মধ্যে শীর্ষে স্থান করে নিয়েছে ইউক্রেনের তৈরি স্নিপেক্স অ্যালিগেটর। আধুনিক যুদ্ধক্ষেত্রে পাল্টে দিচ্ছে দূর থেকে লক্ষ্যবস্তুতে হামলার ধারা। এমনকি উড়ন্ত বিমানও এই রাইফেলের নিশানার বাইরে নয়।
২০২০ সালে ইউক্রেনের হাদো হোল্ডিং লিমিটেড এই রাইফেলটি বাজারে আনে। তখন থেকেই বিশ্বজুড়ে সামরিক বিশ্লেষকদের নজর কেড়েছে বন্দুকটির অস্বাভাবিক শক্তি ও বিস্ময়কর পাল্লা।
কার্যকরী এবং সর্বোচ্চ রেঞ্জ
স্নিপেক্স অ্যালিগেটরের কার্যকরী রেঞ্জ প্রায় দুই হাজার মিটার বা দুই কিলোমিটার। তবে এর সর্বোচ্চ রেঞ্জ সাত হাজার মিটার, অর্থাৎ সাত কিলোমিটার পর্যন্ত এই রাইফেল থেকে গুলি ছোঁড়া সম্ভব। তাই বিমান, ড্রোন এমনকি পাহাড়চূড়ায় থাকা শত্রুঘাঁটিও এর নিশানার মধ্যে পড়ে।
বুলেটের গতি ও ধ্বংসক্ষমতা
এই রাইফেল থেকে ছোঁড়া বুলেটের গতি প্রতি সেকেন্ডে এক হাজার মিটার। অর্থাৎ মাত্র দুই সেকেন্ডেই দুই কিলোমিটার দূরে থাকা লক্ষ্যবস্তুতে পৌঁছাতে সক্ষম। এই রাইফেলের গুলি হালকা বর্ম গাড়ি কিংবা সামরিক যানও ভেদ করতে পারে।
গঠন ও ওজন
স্নিপেক্স অ্যালিগেটর দেখতে যেমন ভারী, কার্যক্ষমতাতেও তেমনই শক্তিশালী। এর ওজন পঁচিশ কেজি হলেও, শক্তিশালী ট্রাইপড এবং ভারসাম্যপূর্ণ নকশার কারণে গুলি ছোড়ার সময় খুব একটা কম্পন হয় না।
ব্যারেলের দৈর্ঘ্য: ৩ দশমিক ৯৩ ফুট
গুলি বা বুলেটের আকার: ১৪ দশমিক ৫ গুণ ১১৪ মিলিমিটার, যার দৈর্ঘ্য ৪ দশমিক ৪৮ ইঞ্চি
ম্যাগাজিন ক্ষমতা ও অন্যান্য বৈশিষ্ট্য
রাইফেলটিতে পাঁচ রাউন্ড ম্যাগাজিন রয়েছে, যা থেকে পরপর পাঁচটি গুলি ছোঁড়া যায় রিলোড না করেই। সামরিক অভিযানে একাধিক লক্ষ্যবস্তু ধ্বংসে এটি বিশেষভাবে কার্যকর। এর একক গুলির ধ্বংসক্ষমতা এতটাই বেশি যে, ব্যালিস্টিক শিল্ডের আড়ালেও শত্রু নিরাপদ নয়।
কেন আলোচনায়
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পটভূমিতে ইউক্রেনের এই রাইফেল আন্তর্জাতিক বাজারে নজর কাড়ছে। বিভিন্ন দেশের সামরিক বাহিনী ইতোমধ্যেই এই রাইফেলের প্রতি আগ্রহ দেখিয়েছে। প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে এটি এক ধরনের গেম চেঞ্জার, বিশেষত পাহাড়ি কিংবা সীমান্ত এলাকায় দূর থেকে টার্গেটিংয়ের ক্ষেত্রে।
এই প্রতিবেদন শেয়ার করুন, জানুন আধুনিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব
লাইক করে মতামত জানান, আপনিও কী চান সেনাবাহিনীতে এমন প্রযুক্তির যুক্ত হওয়া
📌 এই প্রতিবেদন শেয়ার করুন, জানুন আধুনিক অস্ত্র প্রতিযোগিতায় কোন দিকে এগিয়ে যাচ্ছে বিশ্ব।