বিজেনসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য তারিখ সামনে রেখে আসন্ন ঈদ ঘিরে চাঙ্গা হয়ে উঠছে রাজনীতির মাঠ। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা ছুটছেন নিজ নিজ নির্বাচনী এলাকায়। ঈদের ছুটিকে ঘিরে বাড়ছে তৃণমূল পর্যায়ের রাজনৈতিক যোগাযোগ ও জনসম্পৃক্ততা। এই ঈদ হতে পারে নির্বাচনের আগে শেষ বড় উৎসব—এমন ধারণা থেকেই নেতারা তৎপর হয়ে উঠেছেন।
সরকার এখনও নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা না করলেও বড় দলগুলো মাঠে নেমে গেছে। তৃণমূলে চলছে সম্ভাব্য প্রার্থীদের জনসংযোগ, মতবিনিময় সভা ও সামাজিক কর্মসূচি। বিএনপি, জামায়াতে ইসলামী, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশসহ অন্যান্য দলগুলো এখন ঘরছাড়া নেতাদের এলাকায় ফেরানোর কৌশলে ব্যস্ত।
ঈদে নেতাদের নির্বাচনী এলাকায় উপস্থিতি
বিএনপির শীর্ষ নেতারা ঈদ উপলক্ষে নিজ নিজ এলাকায় যাবেন। কেন্দ্রীয় কোনো নির্দেশনা না থাকলেও দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থীরা স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে ঈদ উদ্যাপন করবেন। ঈদের নামাজ শেষে জনগণের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পাশাপাশি তুলে ধরবেন দলের পরিকল্পনা ও অঙ্গীকার। তারা নির্বাচিত হলে এলাকার কী উন্নয়ন করবেন, তাও জানাবেন সরাসরি ভোটারদের।
জামায়াতে ইসলামীর প্রায় ৩০০ আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী ঘোষণা ইতিমধ্যেই হয়েছে। দলের শীর্ষ নেতারাও নিজ নিজ এলাকায় ঈদ উদ্যাপন করবেন। দলের প্রচার সম্পাদক মতিউর রহমান আকন্দ জানিয়েছেন, জামায়াত নেতারা ঈদে গণসংযোগ জোরদার করবেন।
জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) জানায়, তারা এখন নির্বাচন নয়, বরং সাংগঠনিক ভিত্তি শক্ত করার লক্ষ্য নিয়েই কাজ করছে। এনসিপি’র যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আরিফুর রহমান তুহিন বলেন, “সারা দেশে কমিটি গোছানোর কাজ করছি, এখনই আসনভিত্তিক প্রচারণা নয়। তবে ঈদে আমরা সামাজিক সংযোগ অব্যাহত রাখছি।”
কে কোথায় ঈদ করবেন?
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ঢাকার গুলশানে ফিরোজায় ঈদ করবেন। তারেক রহমান লন্ডনে। দলের স্থায়ী কমিটির অধিকাংশ সদস্য ঢাকায় ঈদের নামাজ আদায় করলেও, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ নিজ নিজ এলাকায় ঈদ পালন করবেন।
জামায়াতের আমীর ডা. শফিকুর রহমান থাকবেন মৌলভীবাজারে, নায়েবে আমীর অধ্যাপক মুজিবুর রহমান রাজশাহীতে, মাওলানা শামসুল ইসলাম চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায়, এবং সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার সৌদি আরবের মক্কায় ঈদের নামাজ পড়বেন।
এদিকে ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিসসহ অন্যান্য ইসলামী দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরাও নিজ নিজ এলাকায় ঈদ করবেন এবং নির্বাচনী প্রস্তুতি জোরদার করবেন।
নির্বাচন-রাজনীতি ও ঈদের মেলবন্ধন
ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, “ঈদ শান্তির বার্তা বহন করে। আমরা চাই, এই ঈদ দেশের মানুষের জন্য পরিবর্তনের বার্তা বয়ে আনুক।” তার মতে, আগামী দিনের বাংলাদেশে অর্থনৈতিক ও সামাজিক সাম্য প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বিএনপি জনগণের সঙ্গে আছে।
অন্যদিকে বিএনপি, গণ অধিকার পরিষদ, নাগরিক ঐক্য ও গণসংহতি আন্দোলন—যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত দলগুলোর সম্ভাব্য প্রার্থীরাও ঈদে মাঠে থাকবেন।
তবে জাতীয় পার্টির অনেক নেতা এলাকায় প্রকাশ্যে যেতে সাহস পাচ্ছেন না। তারা বর্তমানে রাজনৈতিকভাবে অনেকটা কোণঠাসা অবস্থায় আছেন বলে জানা গেছে।
📢 আপনার মতামত আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ!
👇 এই প্রতিবেদনের বিষয়টি নিয়ে আপনার ভাবনা বা অভিজ্ঞতা মন্তব্যে জানান।
👍 পছন্দ হলে লাইক করুন,
🔁 শেয়ার করুন বন্ধুদের সঙ্গে,
📲 আর পেতে থাকুন এমন আরও খবর—বিজনেসটুডে২৪.কম-এর সাথেই থাকুন!