আন্তর্জাতিক ডেস্ত:
যুক্তরাষ্ট্রের রাজনীতিতে এক সময়ের ঘনিষ্ঠ মিত্র ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইলন মাস্কের সম্পর্ক এখন তিক্ততায় পরিণত হয়েছে। ২০২৪ সালের নির্বাচনে ট্রাম্পের প্রচারণায় মাস্কের সক্রিয় সমর্থন ও আর্থিক অনুদানের পর ২০২৫ সালে তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব চরমে পৌঁছেছে।
বন্ধুত্বের সূচনা
২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ইলন মাস্ক ট্রাম্পের প্রচারণায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেন। তিনি প্রায় ৩০০ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন এবং ট্রাম্পের প্রশাসনে “ডিপার্টমেন্ট অফ গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি”- এর প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এই পদে থাকাকালীন, মাস্ক ফেডারেল ব্যয়ের কাটছাঁট ও প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে কাজ করেন।
দ্বন্দ্বের সূচনা
২০২৫ সালের মে মাসে, ট্রাম্পের “ওয়ান বিগ বিউটিফুল বিল” নামে পরিচিত একটি ব্যয়বহুল কর ও ব্যয় বিলের সমালোচনা করে মাস্ক। তিনি বিলটিকে “পোর্ক-ফিল্ড” ও “ঋণ দাসত্ব” বলে অভিহিত করেন। এর প্রতিক্রিয়ায়, ট্রাম্প মাস্ককে “অস্থিতিশীল” ও “ট্রাম্প ডিরেঞ্জমেন্ট সিনড্রোমে” আক্রান্ত বলে মন্তব্য করেন। এই পাল্টাপাল্টি মন্তব্যের ফলে তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।
রাজনৈতিক ও আর্থিক প্রভাব
এই দ্বন্দ্বের ফলে মাস্কের কোম্পানি টেসলার শেয়ারমূল্য ১৪% কমে যায়, যা প্রায় ১৫২ বিলিয়ন ডলারের ক্ষতির সমান। অন্যদিকে, ট্রাম্প মিডিয়ার শেয়ারমূল্য ৮% হ্রাস পায়। মাস্ক “দ্য আমেরিকা পার্টি” নামে একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠনের ঘোষণা দেন, যা ট্রাম্পের রিপাবলিকান পার্টির জন্য একটি চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
ভবিষ্যতের দিকনির্দেশনা
এই দ্বন্দ্বের ফলে ট্রাম্প প্রশাসন মাস্কের কোম্পানিগুলোর ফেডারেল চুক্তি ও ভর্তুকি বাতিলের হুমকি দেয়। মাস্কও স্পেসএক্সের ড্রাগন স্পেসক্র্যাফট বন্ধ করার হুমকি দেন, যদিও পরে তিনি সেই সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসেন। এই পরিস্থিতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি ও রাজনৈতিক অঙ্গনে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করেছে।
📢 আপনার মতামত জানান!
❤️ প্রতিবেদনটি ভালো লাগলে রিঅ্যাক্ট করুন
💬 মন্তব্যে আপনার মতামত শেয়ার করুন
🔁 বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করুন, যেন সবাই এই গুরুত্বপূর্ণ খবরটি জানতে পারে
#ট্রাম্প_মাস্ক_দ্বন্দ্ব #যুক্তরাষ্ট্র_রাজনীতি #ইলন_মাস্ক #ডোনাল্ড_ট্রাম্প #রাজনৈতিক_সংবাদ