Home স্বাস্থ্য কিডনিতে পাথর? কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে মিলতে পারে উপশম

কিডনিতে পাথর? কিছু প্রাকৃতিক উপায়ে মিলতে পারে উপশম

হেলথ ডেস্ক:

কিডনিতে পাথর শুনলেই আতঙ্ক ছড়ায় অনেকের মনে। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য, আজকাল এই সমস্যা প্রায় ঘরে ঘরে দেখা দিচ্ছে। তীব্র ব্যথা, প্রস্রাবে জ্বালা, কিংবা রক্ত পড়া—এ সবই কিডনিতে পাথরের সাধারণ উপসর্গ। পাথর যদি আকারে বড় হয়, তবে অস্ত্রোপচার ছাড়া গতি থাকে না। চিকিৎসা বিজ্ঞানে এই পদ্ধতির নাম ‘লিথোট্রিপসি’। তবে যখন এমন আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি ছিল না, তখন কিছু প্রাকৃতিক উপায়েই ছোট পাথর গলিয়ে ফেলার চেষ্টা চলত। চলুন, দেখা যাক এমনই কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি:

১. লেবু জল
লেবুর রসে থাকা সাইট্রিক অ্যাসিড ক্যালসিয়াম অক্সালেট গলাতে সাহায্য করে, যা কিডনি পাথরের অন্যতম উপাদান। প্রতিদিন সকালে এক গ্লাস হালকা গরম জলে অর্ধেক লেবুর রস মিশিয়ে খেলে ছোট পাথর ধীরে ধীরে গলতে পারে।

২. নারকেল জল
নারকেল জল প্রাকৃতিক ডাইউরেটিক হিসেবে কাজ করে। এটি প্রস্রাবের পরিমাণ বাড়িয়ে কিডনি পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। ফলস্বরূপ, ক্ষুদ্র পাথর স্বাভাবিক পথে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়। সেই সঙ্গে ক্যালসিয়াম ও অক্সালেট জমে পাথর তৈরির প্রবণতাও কমে।

৩. বরজপাতার জল
আয়ুর্বেদের মতে, বরজপাতার রস কিডনির পাথর গলাতে সহায়ক। এটি কিডনির উপর অতিরিক্ত চাপ না দিয়ে পাথর ভাঙতে সাহায্য করে বলে অনেকে মনে করেন।

৪. পাথরকুচি পাতার রস
নামে যেমন, কাজে তেমন! বহু প্রাচীনকাল থেকে আয়ুর্বেদে এই পাতার রস কিডনি পাথর ভাঙার ঘরোয়া উপায় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। প্রতিদিন সকালে এক চা চামচ করে খালি পেটে পান করলে কিছুটা উপকার মিলতে পারে বলে প্রচলিত ধারণা।

সতর্কতা জরুরি
তবে এই ঘরোয়া পানীয়গুলি পুরোটাই প্রচলিত বিশ্বাসের উপর ভিত্তি করে ব্যবহৃত হয়। এসবের পেছনে এখনও পর্যাপ্ত বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। ক্ষুদ্র বা মাঝারি পাথরের ক্ষেত্রে কিছুটা উপকার মিললেও, বড় পাথর কিংবা জটিল পরিস্থিতিতে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। এমনকি ঘরোয়া উপায়ে চিকিৎসা শুরু করার আগেও পেশাদার চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া জরুরি।

📌 স্বাস্থ্য সচেতন হোন, চিকিৎসা নিয়ে সিদ্ধান্ত নিন জেনে বুঝে।

🔁 এই প্রতিবেদনটি উপকারে এলে শেয়ার করুন পরিচিতদের সঙ্গে
❤️ লাইক দিন যদি আপনি স্বাস্থ্যবিষয়ক আরও এমন তথ্য চান
📢 নিয়মিত স্বাস্থ্য টিপস পেতে ফলো করুন আমাদের পেজ