বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: ভারতে হঠাৎ করেই করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে থাকায় বাংলাদেশও নতুন করে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নিয়েছে। দেশের স্থল, নৌ ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে স্ক্রিনিংসহ স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিধি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। একইসঙ্গে ভারতসহ অন্যান্য সংক্রমিত দেশ থেকে আসা সন্দেহভাজন যাত্রীদের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণের জন্য ইমিগ্রেশন ও আইএইচআর হেলথ ডেস্ককে সক্রিয়ভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ৪৩ জনের নমুনা পরীক্ষায় দুজনের শরীরে করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। বৃহস্পতিবার করোনায় আক্রান্ত হয়ে একজন মারা গেছেন বলেও নিশ্চিত করেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। এর মধ্যেই পবিত্র ঈদুল আজহার পর ট্রেনের ফিরতি যাত্রায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। বিশেষ করে মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক করার বিষয়ে যাত্রীদের সচেতন থাকতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
দেশের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাও জনসমাগম এড়িয়ে চলা ও মাস্ক ব্যবহারের ওপর গুরুত্বারোপ করছেন। স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বয়স্ক এবং অসুস্থদের ক্ষেত্রে এই সতর্কতা আরও জোরালোভাবে অনুসরণ করা প্রয়োজন।
এদিকে ৪ জুন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক অধ্যাপক ডা. ফরহাদ হোসেন স্বাক্ষরিত এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, সন্দেহজনক যাত্রীদের বিষয়ে তথ্য দিয়ে ইমিগ্রেশন ও হেলথ ডেস্কের সহায়তা নেওয়া, পাশাপাশি প্রত্যেককে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানো বাধ্যতামূলক। নির্দেশনায় আরও বলা হয়েছে, যাত্রীদের মধ্যে ওমিক্রনসহ যেকোনো নতুন ধরন রয়েছে কি না, তা সনাক্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
ভারতে গতকাল একদিনেই করোনায় আক্রান্ত হয়ে ছয়জনের মৃত্যু এবং ৩৭৮ জনের নতুন সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে। এতে দেশজুড়ে সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ছয় হাজার ছাড়িয়ে গেছে। ইতোমধ্যে ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে নতুন করে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে, যা বাংলাদেশের জন্যও উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
বেনাপোল চেকপোস্টে সরজমিনে দেখা গেছে, ইমিগ্রেশন মেডিকেল ডেস্কে কর্তব্যরতরা ভারতফেরত যাত্রীদের স্বাস্থ্যপরীক্ষায় ব্যস্ত সময় পার করছেন। উপসহকারী মেডিকেল অফিসার আব্দুল মজিদ বলেন, ‘ভারতে ওমিক্রনের নতুন ধরন বাড়ছে বলে জানা গেছে। ফলে প্রত্যেক যাত্রীর করোনা উপসর্গ যাচাই করে তবেই তাদের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে।’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এপ্রিলে দেশে করোনা শনাক্তের সংখ্যা ছিল ২৩। কিন্তু মে মাসে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ জনে। এ অবস্থায় জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা আবারও স্বাস্থ্যবিধি মানার তাগিদ দিচ্ছেন।
- 🧪 ভারত–বাংলাদেশ সংক্রমণ পরিস্থিতির তুলনা
- ভারতে শুধুমাত্র গত ২৪ ঘণ্টায় ছয়জন মারা গেছে, এবং প্রায় ৫৩৬৪ সক্রিয় রোগী রয়েছে ।
- বাংলাদেশে এপ্রিলে শনাক্ত হয়েছিল ২৩ জন, মে মাসে সেই সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৮৬–তে ।
- ✅ যদি মনে করেন সতর্কতা ও সচেতনতার এই বার্তা আরও অনেকের জানা উচিত, তবে প্রতিবেদনটি লাইক দিন ও শেয়ার করে ছড়িয়ে দিন।
😷 সচেতন হোন, নিরাপদ থাকুন আপনার একটি শেয়ার হয়তো কারও জীবন রক্ষা করতে পার