Home আকাশ পথ ফ্ল্যাপে ত্রুটি, কলকাতায় আটকে থাই এয়ারলাইন্সের বিমান

ফ্ল্যাপে ত্রুটি, কলকাতায় আটকে থাই এয়ারলাইন্সের বিমান

  এভিয়েশন ডেস্ক: কলকাতার নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ফের বিমান বিভ্রাট। রাতভর অপেক্ষায় থাকা যাত্রীরা রীতিমতো হতাশায় এবং ক্ষোভে ফেটে পড়েন, যখন হঠাৎ করে বাতিল করে দেওয়া হয় থাই এয়ারলাইন্সের ব্যাংককগামী ফ্লাইট এসএল দুইশ তেতাল্লিশ।

সূত্রের খবর অনুযায়ী, শনিবার গভীর রাতে কলকাতা থেকে ব্যাংককের উদ্দেশ্যে রওনা দেওয়ার কথা ছিল থাই এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী বিমানটির। নির্ধারিত সময় ছিল রাত দুইটা পঁইত্রিশ মিনিট। তবে উড়ান শুরুর প্রস্তুতির সময়ই পাইলট বিমানে একটি গুরুতর যান্ত্রিক ত্রুটি শনাক্ত করেন। জানা যায়, ডানদিকের ডানায় থাকা ফ্ল্যাপ সিস্টেমে সমস্যা দেখা দেয়। ফ্ল্যাপের কাজ হলো উড্ডয়ন এবং অবতরণের সময় বিমানের ভারসাম্য ও গতি নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করা। সে কারণে সামান্যতম ত্রুটি থাকলেও তা বিমান চলাচলে ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।

বিমানচালক বিষয়টি সঙ্গে সঙ্গে নিয়ন্ত্রণ কক্ষে জানান। পরবর্তীতে রাত তিনটা ত্রিশ মিনিটে বিমান কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয় যে এই ফ্লাইটটি বাতিল করা হবে। এতে বিমানে থাকা মোট একশ ত্রিশজন যাত্রী এবং ছয়জন কেবিন ক্রু সদস্যকে নামিয়ে আনা হয় এবং বিমানটিকে বিমানবন্দরের চৌত্রিশ নম্বর বে-তে সরিয়ে রাখা হয় মেরামতের জন্য।

ফ্লাইট বাতিলের ঘোষণার পরই যাত্রীদের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। অনেকেই হতাশা ও রাগ প্রকাশ করে বিমান কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ কলকাতার বাইরে থেকে এসেছেন, কেউ আবার ব্যাংককে চিকিৎসা বা ব্যবসায়িক প্রয়োজনে যাচ্ছিলেন বলে জানান। বিমানবন্দর চত্বরে নিরাপত্তা বাড়ানো হয় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে।

ঘটনার পর থাই এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ ঘোষণা দেয়, যাত্রীদের জন্য আগামীকাল অর্থাৎ ছয় জুলাই ভোর চারটা ত্রিশ মিনিটে নতুন একটি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হবে। এ ছাড়া যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা লাঘব করতে দুইটি হোটেলে থাকার ও খাবারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, এ ধরনের যান্ত্রিক ত্রুটি যদি উড্ডয়নের পরে ধরা পড়ত, তাহলে তা বড় দুর্ঘটনায় রূপ নিতে পারত। তাই পাইলটের সতর্কতাই অনেক যাত্রীর জীবনকে নিরাপদ রেখেছে। তবে ঘন ঘন এ ধরনের ত্রুটি উড়ান নিরাপত্তা ও যাত্রীসেবা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেয় বলেও মনে করছেন বিমানসংক্রান্ত বিশ্লেষকরা।

প্রতিবেদন লেখার সময় পর্যন্ত থাই এয়ারলাইন্স বা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে আর কোনো আনুষ্ঠানিক বিবৃতি পাওয়া যায়নি। নতুন ফ্লাইট ঠিকভাবে নির্ধারিত সময়ে ছাড়ে কি না, সেটাই এখন দেখার বিষয়।