Home আকাশ পথ ফরাসি ‘রাফাল’ বনাম চীনা ‘জে-২০’: আকাশযুদ্ধে নতুন ঠান্ডা লড়াই

ফরাসি ‘রাফাল’ বনাম চীনা ‘জে-২০’: আকাশযুদ্ধে নতুন ঠান্ডা লড়াই

এভিয়েশন ডেস্ক: বিশ্বের আকাশসীমায় আধিপত্য বিস্তারে নতুন মাত্রা যোগ করছে যুদ্ধবিমান প্রতিযোগিতা। সম্প্রতি ফ্রান্স ও চীনের মধ্যে এই প্রতিযোগিতা তীব্র হয়েছে। উভয় দেশই নিজস্ব যুদ্ধবিমানকে আধুনিক প্রযুক্তি ও কৌশলগত বৈশিষ্ট্যে উন্নত করে তুলছে। বিশেষ করে ফ্রান্সের ‘দাসো রাফাল’ ও চীনের ‘চেংদু জে-২০’ এখন আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে।

ফ্রান্সের রাফাল যুদ্ধবিমান বহু বছর ধরে ইউরোপ ও ভারতের মতো দেশগুলোর আস্থার প্রতীক। এটি বহুমুখী অভিযানে সক্ষম, আকাশ-থেকে-আকাশ এবং আকাশ-থেকে-স্থল হামলা চালাতে পারে। এছাড়া রাফালের ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার ব্যবস্থা এবং দূরপাল্লার অস্ত্র ব্যবস্থাও বেশ উন্নত। ভারতে এই যুদ্ধবিমানের ক্রয় এবং লাদাখে চীনের সঙ্গে উত্তেজনার সময় তার সক্রিয় ভূমিকা রাফালকে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তোলে।

অন্যদিকে চীন তাদের নিজস্ব পঞ্চম প্রজন্মের স্টিলথ যুদ্ধবিমান ‘জে-২০’-কে কেন্দ্র করে সামরিক আধিপত্য বিস্তারে সচেষ্ট। এই যুদ্ধবিমানটিকে পশ্চিমা বিশ্লেষকরা ‘ড্রাগন’ নামেও অভিহিত করেন। স্টিলথ প্রযুক্তি, সুদূরপাল্লার মিসাইল এবং চীনা রাডার সিস্টেমের সঙ্গে একত্রিত হয়ে এটি এশিয়ার আকাশপথে একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠেছে।

এই প্রতিযোগিতা শুধু প্রযুক্তিগত নয়, ভূরাজনৈতিকও। ফ্রান্স যেমন ভারতের মতো গণতান্ত্রিক শক্তির সঙ্গে অংশীদারিত্ব জোরদার করছে, তেমনি চীন পাকিস্তান, ইরান ও রাশিয়ার সঙ্গে প্রতিরক্ষা সহযোগিতা বাড়াচ্ছে। রাফাল ও জে-২০-কে কেন্দ্র করে এই পরোক্ষ সংঘাত এখন দক্ষিণ এশিয়া, পশ্চিম এশিয়া এবং আফ্রিকার বাজারেও প্রভাব ফেলছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ভবিষ্যতের সংঘর্ষ এখন আর শুধু সামরিক ঘাঁটি ও সীমানা নিয়েই সীমাবদ্ধ থাকবে না, বরং প্রযুক্তির প্রাধান্য ও প্রতিরক্ষা রপ্তানির ওপর অনেকাংশে নির্ভর করবে বৈশ্বিক ক্ষমতার ভারসাম্য।

একদিকে ইউরোপীয় কৌশলগত দূরদর্শিতা, অন্যদিকে চীনের প্রযুক্তি ও শিল্পে অগ্রগতি—এই দ্বৈরথের গতি আগামী এক দশকে বিশ্ব রাজনীতির চেহারায় গভীর ছাপ ফেলতে পারে।