বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন জানিয়েছেন, “সারাদেশে নির্মিত মডেল মসজিদগুলোর সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। যদি তাঁরা ভিন্ন ধর্মের হন, তাহলে দায়িত্ব পালন করবেন সংশ্লিষ্ট এলাকার কোনো মুসলিম অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (এডিসি) বা সহকারী কমিশনার (এসি-ল্যান্ড)। একই নিয়ম প্রযোজ্য হবে যদি কোনো নারী কর্মকর্তা থাকেন।”
খুলনায় ইমামদের এক সমাবেশে প্রদত্ত বক্তব্য ঘিরে তৈরি হওয়া বিভ্রান্তির পরিপ্রেক্ষিতে ব্যাখ্যা দিয়ে শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক স্ট্যাটাসে তিনি জানান, গণমাধ্যমে তাঁর বক্তব্য যথাযথভাবে উপস্থাপন হয়নি।
স্ট্যাটাসে তিনি লিখেছেন, খুলনায় ইমামদের এক সমাবেশে প্রদত্ত বক্তব্য মিডিয়ায় যথাযথভাবে উপস্থাপিত হয়নি।
সারাদেশে মডেল মসজিদগুলোর সভাপতি হবেন জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা। তাঁরা ভিন্ন ধর্মের অনুসারী হলে মুসলিম এডিসি বা মুসলিম এসি ল্যান্ড দায়িত্ব পালন করবেন। মহিলা হলেও একই নিয়ম।
মডেল মসজিদগুলো নির্মাণ ও পরিচালনা সম্পূর্ণ সরকারের অর্থায়নে। সুতরাং এর নিয়ন্ত্রণভার থাকবে সরকারের হাতে।
অপর দিকে সারাদেশে ছড়িয়ে থাকা ৩ লাখ বেসরকারি মসজিদের কমিটি, সভাপতি, সেক্রেটারি কে হবেন তা নির্ধারণ করবেন মুসল্লী, মোতুয়াল্লী ও স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসলমানেরা। ডিসি অথবা ইউএনও সভাপতি হওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। কারণ এসব মসজিদ তো বেসরকারি। সরকার এসব মসজিদের ব্যয়ভার বহন করে না। তবে কোন কমিটির সাথে ইমাম, খতিব ও মুয়াযযিনের যদি বিরোধ দেখা দেয় বা সংকট তৈরি হয়, সেক্ষেত্রে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তি বিষয়টি নিরসনের জন্য প্রশাসনের সহযোগিতা নিতে পারবেন।
এটাই হল মূল প্রতিপাদ্য।
ধর্ম উপদেষ্টার ব্যাখ্যা থেকে স্পষ্ট যে, সরকারের উদ্দেশ্য রাষ্ট্রীয় অর্থায়নে গঠিত মডেল মসজিদসমূহে জবাবদিহিমূলক প্রশাসনিক কাঠামো রাখা এবং বেসরকারি মসজিদগুলোকে জনগণের নিজস্ব ধর্মীয় নেতৃত্বে পরিচালিত হতে দেওয়া।