বিনোদন ডেস্ক: ৭৬ বছর বয়সী বেলজিয়ান নাগরিক মিশেল। হোয়াটসঅ্যাপে চলছিল প্রেম। তার এক পর্যায়ে ৭৬০ কিলোমিটার ভ্রমণ করে পৌঁছে যান ফ্রান্সের এক ‘সুন্দরীর’ বাড়িতে। সেখানে গিয়ে তিনি জানলেন এই সম্পর্কটি ছিল পুরোপুরি ভুয়া।
মিশেল বিশ্বাস করেছিলেন, তিনি সাবেক মিস লিমুসাঁ ও ২০০৭ সালের মিস ফ্রান্স প্রতিযোগিতার রানার-আপ সোফি ভুজেলোর সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে রোমান্টিক সম্পর্কে জড়িয়েছেন। কয়েক সপ্তাহ ধরে আলাপ চলার পর সেই নারীই তাকে বিয়ের আহ্বান জানিয়েছেন বলে তিনি ধারণা করেন। এই বিশ্বাসে ভর করে তিনি পৌঁছে যান সোফির বাড়িতে, যা প্যারিস থেকে প্রায় ৪২০ কিমি দক্ষিণে সাঁ জুলিয়েন অঞ্চলে অবস্থিত।
কিন্তু সেখানে গিয়ে তিনি মুখোমুখি হন সোফির স্বামী ফাবিয়েনের সঙ্গে। ফাবিয়েন জানান, মিশেল বাড়ির দরজায় এসে বলেন, “আমি সোফি ভুজেলোর ভবিষ্যৎ স্বামী।” জবাবে ফাবিয়েন বলেন, “আর আমি তার বর্তমান স্বামী।”
এসময় সোফি (৩৮) মিশেলকে বুঝিয়ে বলেন, তিনি প্রতারণার শিকার হয়েছেন। দম্পতি মিশেলকে পরামর্শ দেন যেন তিনি পুলিশে অভিযোগ করেন। তবে মিশেল সেই অভিযোগ করেছেন কিনা, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
মিশেল জানান, তিনি প্রতারকদের কাছে প্রায় ৩০ হাজার ইউরো (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৪০ লাখ) পাঠিয়েছেন এবং ভেবেছিলেন তিনি সত্যিই ভালোবাসার সম্পর্কে জড়িয়েছেন। সোফির স্বামী পুরো ঘটনার একটি ভিডিও অনলাইনে প্রকাশ করলে বিষয়টি সামনে আসে। ভিডিওতে দেখা যায়, হতাশাগ্রস্ত মিশেল নিজের ভুল বুঝতে পেরে বলেন, “আমি একেবারে নির্বোধ ছিলাম।”
বিশেষজ্ঞদের মতে, এটিই ‘রোমান্স ফ্রড’ বা প্রেমের ফাঁদে ফেলে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার উদাহরণ। অপরাধীরা ভুয়া পরিচয়ে সম্পর্ক তৈরি করে, দীর্ঘ সময় ধরে আস্থা অর্জন করে এবং এক সময় অর্থ চায় বিভিন্ন অজুহাতে। অনেক ক্ষেত্রেই এ ধরনের প্রতারণার শিকার হন একাকী, বয়স্ক মানুষরা।










