বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, গাজীপুর: গাজীপুরের ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (ডুয়েট) সম্প্রতি সমকামিতার অভিযোগে পাঁচজন শিক্ষার্থীকে হল থেকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে। ২২ জুলাই মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক ড. উৎপল কুমার দাস স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শিক্ষার্থীদের আবেদনের প্রেক্ষিতে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্ত এবং শিক্ষার পরিবেশ সুরক্ষার স্বার্থে এ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। বহিষ্কৃতদের মধ্যে কাজী নজরুল ইসলাম (কেএনআই) হলের তিনজন এবং শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ (এসটিএ) হলের দুইজন শিক্ষার্থী রয়েছেন।
ঘটনার সূত্রপাত হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থীর লিখিত অভিযোগ থেকে। তাঁরা দাবি করেন, আবাসিক হলে নিয়মিতভাবে সমকামী কর্মকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। ছয় মাসের বেশি সময় ধরে তারা বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করে তথ্য ও প্রমাণ সংগ্রহ করেছে। তাদের ভাষ্য মতে, অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচজনের চেয়েও অনেক বেশি—কমপক্ষে ৩০ থেকে ৪০ জন শিক্ষার্থী এর সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভে অংশ নেন। তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে ধীরে পদক্ষেপ নেওয়ার অভিযোগ এনে অভিযুক্তদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন এবং প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন।
একাধিক শিক্ষার্থী সাংবাদিকদের জানান, “এটা কোনো ব্যক্তিগত আচরণ নয়; ডুয়েটের মতো একটি প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলে এরকম অনৈতিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ড চলতে পারে না। আমরা বিশ্ববিদ্যালয়ের মর্যাদা রক্ষার জন্যই প্রতিবাদ করছি।”
পরিস্থিতি সম্পর্কে জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক অধ্যাপক উৎপল কুমার দাস বলেন, “শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে আমরা ব্যবস্থা নিয়েছি। বিক্ষোভ চলছে, আমরা বিষয়টি গুরুত্বসহকারে পর্যবেক্ষণ করছি এবং তদন্ত শেষ হলে বিধি অনুযায়ী পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।”
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, এই ঘটনার তদন্ত প্রতিবেদন এবং শিক্ষার্থীদের দাবির আলোকে সিন্ডিকেট সভায় পরবর্তী পদক্ষেপ নির্ধারণ করা হবে।
📣 এই বিষয়ে আপনার মতামত কী? বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত যথাযথ হয়েছে বলে মনে করেন? নিচের মন্তব্য বিভাগে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না। আরও আপডেট পেতে আমাদের সাথেই থাকুন।