Home Third Lead দীঘিনালায় জেএসএস-ইউপিডিএফ গোলাগুলি: নিহত ৪

দীঘিনালায় জেএসএস-ইউপিডিএফ গোলাগুলি: নিহত ৪

ইউপিডিএফের অস্বীকৃতি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, খাগড়াছড়ি:খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার দুর্গম পাহাড়ি এলাকায় পার্বত্য চট্টগ্রামের দুই আঞ্চলিক সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ) ও পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (জেএসএস) সন্তু লারমা গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে শুক্রবার (২৫ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে উপজেলার নারাইছড়ির জোড়া সিন্ধু কার্বারিপাড়ায়।  এতে চারজন নিহত হয়েছেন বলে দাবি করা হলেও, এখনো পর্যন্ত কোনো পক্ষ থেকে তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, গোলাগুলি চলে অন্তত আধাঘণ্টা। প্রায় তিনশ থেকে চারশ রাউন্ড গুলি বিনিময় হয়। এলাকাবাসী আতঙ্কিত হয়ে পড়ে এবং অনেকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেয়। গোলাগুলির পেছনে রয়েছে দীর্ঘদিনের পুরনো আধিপত্য বিরোধ।

দীঘিনালা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া জানান, গোলাগুলির খবর নিশ্চিত হলেও হতাহতদের নাম-পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, “নারাইছড়ির তিন-চার কিলোমিটার ভেতরে জেএসএস ও ইউপিডিএফ (মূল) এর মধ্যে গোলাগুলি হয়। চারজন নিহত হওয়ার খবর থাকলেও আমরা এখনো নিশ্চিত নই। ঘটনাস্থল দুর্গম হওয়ায় পৌঁছাতে সময় লাগছে।”

পুলিশ সুপার আরেফিন জুয়েলও বলেন, “এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে গোলাগুলির তথ্য পাওয়া গেছে। তবে, হতাহতের বিষয়ে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না।”

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ইউপিডিএফের জেলা সংগঠক অংগ্য মারমা জানান, তারা গোলাগুলির কথা শুনেছেন, তবে সেখানে ইউপিডিএফের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “সম্প্রতি ভাইবোনছড়ায় সংঘটিত এক ধর্ষণবিরোধী আন্দোলন থেকে জনগণের দৃষ্টি সরাতে এ ধরনের মিথ্যা প্রচারণা চালানো হচ্ছে। ইউপিডিএফের কেউ হতাহত হয়নি।”

তবে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরাও মুখ খুলতে নারাজ।

এলাকাটি দুর্গম হওয়ায় নিরাপত্তা বাহিনী এখনো ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি। ফলে হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা ও পরিস্থিতি সম্পর্কে নিশ্চিত তথ্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।


সব গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে চোখ রাখুন businesstoday24.com