বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে চাঁদাবাজির ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান পুলিশের সংস্কার কমিশনের তালিকাভুক্ত সদস্য ছিলেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) যুগ্ম সদস্যসচিব মাহিন সরকার। গ্রেপ্তারের একদিন পর রোববার (২৭ জুলাই) সকালে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক আইডিতে দেওয়া পোস্টে তিনি এ তথ্য প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, গত শনিবার (২৬ জুলাই) রাতে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় চাঁদা দাবি করতে গিয়ে গুলশানের ৩৬ নম্বর রোড থেকে রাজ্জাকসহ পাঁচজনকে হাতেনাতে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। প্রাথমিকভাবে জানা যায়, তারা সবাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত।
মাহিন সরকারের দাবি, “আবদুর রাজ্জাক পুলিশ সংস্কার কমিশনের সদস্য। এই অবস্থান থেকেই সে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আশেপাশে পরিচয় ভাঙিয়ে সুবিধা নেওয়ার সুযোগ পেত। বিষয়টি এখনই স্পষ্টভাবে সামনে আনা প্রয়োজন।”
এদিকে ঘটনার পরপরই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের পক্ষ থেকে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। বহিষ্কৃতদের তালিকায় রয়েছেন ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সাকাদাউন সিয়াম, সাদাব, জানে আলম অপু এবং আবদুর রাজ্জাক বিন সুলাইমান।
মাহিন সরকার তার স্ট্যাটাসে জানে আলম অপু এবং মুন্নার অতীত কর্মকাণ্ড নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি অভিযোগ করেন, “জানে আলম অপু নিজ জেলায় আগে থেকেই বিতর্কিত ছিলেন। মুন্না আবার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দিয়ে বিভিন্ন সময় অদ্ভুত সিদ্ধান্ত ও দায়িত্বহীন আচরণ করেছেন।”
এনসিপি নেতার অভিযোগ, এরা কেউই হঠাৎ করেই রাজনীতির মাঠে আসেননি। বরং একাধিকবার ‘কেন্দ্রীয় সংযোগ’ ব্যবহার করে সুবিধা নিয়েছেন। তিনি দাবি করেন, “রিমান্ডে এনে প্রকৃত কুশীলবদের চিহ্নিত করা এখন অত্যন্ত জরুরি, কারণ এই ব্যানার একসময় ঐতিহাসিক ছিল—আজ তা অবিশ্বাস আর প্রশ্নের মুখে।”
এই ঘটনায় ছাত্র রাজনীতির কিছু সংগঠন এখন নিজেদের অবস্থান পুনর্মূল্যায়ন করতে বাধ্য হচ্ছে। বিশেষ করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতো সংবেদনশীল দপ্তরের সংশ্লিষ্টতায় যাদের নাম উঠে এসেছে, তা নিয়ে রাজনৈতিক অঙ্গনে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে।
ঘটনার আরও বিশ্লেষণ ও প্রতিক্রিয়া জানতে ভিজিট করুন businesstoday24.com।