বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: যারা নির্বাচনকে ভয় পায়, তাদের রাজনীতির দরকার নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, “তারা চাইলে প্রেসার গ্রুপ কিংবা এনজিও হিসেবে কাজ করতে পারে, কিন্তু রাজনীতি করবে আবার নির্বাচনে যাবে না—এটা গণতন্ত্র নয়।”
রোববার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি। ভাসানী জনশক্তি পার্টি ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যৌথ আয়োজনে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের এক বছর উপলক্ষে এই সভা হয়।
আমির খসরু বলেন, “যেসব দেশে নির্বাচনের পথ বন্ধ করা হয়েছে, সেসব দেশে বিভাজন সৃষ্টি হয়েছে, গৃহযুদ্ধ হয়েছে, আর শেষ পর্যন্ত ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয়েছে। কিন্তু যারা দ্রুত নির্বাচনের মাধ্যমে গণতন্ত্রে ফিরতে পেরেছে, তারা অর্থনীতি, সমাজ ও গণতন্ত্রে উন্নতি করেছে।”
সবকিছুতে ঐকমত্য না হলেও জাতীয় স্বার্থে এক থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “রাজনৈতিক আদর্শ ও চিন্তায় ভিন্নতা থাকবে। সেটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। একদলীয় চিন্তা দিয়ে দেশ চলতে পারে না। একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও সহনশীলতা ছাড়া গণতন্ত্র টিকে না।”
আওয়ামী লীগ সরকারকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার পর দেশের মানুষ যে মানসিক পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তা অনেকে বুঝতে পারছে না। যারা এই পরিবর্তন ধরতে পারছে না, তাদের সামনে কোনো রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নেই।”
নির্বাচন বিষয়ে খসরুর বক্তব্য ছিল কঠোর। তিনি বলেন, “আমার কথা না শুনলে নির্বাচন মানব, আর শুনলে মানব না—এ ধরনের মানসিকতা অগণতান্ত্রিক। শেখ হাসিনার আমলেও যা বলতেন, তা-ই মানতে হতো। জনগণের কোনো অধিকার ছিল না।”
আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণফোরামের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সার এবং ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু।
রাজনীতির প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ খবর পেতে ভিজিট করুন: www.businesstoday24.com