Home Third Lead চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ছাত্রনেতারা রিমান্ডে, আদালতপাড়ায় গণপিটুনি

চাঁদাবাজির অভিযোগে আটক ছাত্রনেতারা রিমান্ডে, আদালতপাড়ায় গণপিটুনি

ছবি সংগৃৃৃৃহীত
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: রাজধানীর গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রী ও সাবেক সংসদ সদস্য শাম্মী আহমেদের বাসায় গিয়ে চাঁদা দাবির অভিযোগে গ্রেপ্তার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের তিন নেতা ও গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের একজন নেতাকে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষুব্ধ জনতা কিল-ঘুষি ও লাথি মেরেছে।

আজ রোববার চাঁদাবাজির মামলায় রিমান্ড শুনানির আগে ও পরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত চত্বরে এ ঘটনা ঘটে।

গুলশান থানার পুলিশ পরিদর্শক মোখলেসুর রহমান আসামিদের আদালতে হাজির করে প্রত্যেকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক মো. জিয়াদুর রহমান সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

আসামিরা হলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক ইব্রাহিম হোসেন মুন্না, সদস্য মো. সাকাদাউন সিয়াম, সাদমান সাদাব এবং গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুর রাজ্জাক রিয়াদ।

বিকাল ৪টা ১০ মিনিটে আদালতে তোলা হলে বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের দেখে স্লোগান দেয়। এরপর পুলিশি নিরাপত্তার মধ্যেই আদালত ভবনের সিঁড়িতে জনতা তাদের মারধর করে। একই ধরনের হামলা হয় বিকেল ৪টা ৩৭ মিনিটে এজলাস থেকে হাজতখানায় নেওয়ার সময়ও।

আদালতে এক আইনজীবী কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা আসামিদের জিজ্ঞাসা করেন, ‘তোমরা কি সত্যিই চাঁদা চাইতে গিয়েছিলে?’ জবাবে আসামিরা বলেন, তারা চাঁদা নিতে যাননি, বরং যাওয়ার আগে পুলিশকে ফোন করেছিলেন। পুলিশ সেখানে পৌঁছে কোনো কথা না বলেই তাদের ধরে নিয়ে যায়।

রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর মুহাম্মদ শামছুদ্দোহা সুমন শুনানিতে বলেন, এই চক্র ৫ আগস্টের পর থেকে আওয়ামী লীগের নেতাদের বাড়ি টার্গেট করে চাঁদাবাজি করে। তারা ফেসবুকে এসব কর্মকাণ্ড প্রচার করে উল্লাস করে। এমনকি তারা তারেক রহমানের নামেও কটূক্তি করেন। শেখ হাসিনার পলায়নের পর এনসিপি নাম ব্যবহার করে চাঁদাবাজি শুরু করেন বলে তিনি দাবি করেন।

তিনি বলেন, এত অল্প বয়সে কোটি কোটি টাকার মালিক হওয়া এই নেতাদের পক্ষে সম্ভব নয়। রিমান্ডে নেওয়া হলে তাদের প্রকৃত নেটওয়ার্ক ও সম্পদের উৎস উদঘাটন সম্ভব।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আক্তার হোসেন ভূঁইয়া বলেন, তারা থানায় যাওয়ার আগে ফোন করেছিলেন, সেই বিষয়টি বিবেচনায় নেওয়া উচিত।

উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক প্রত্যেকের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

গতকাল রাতে গুলশানে আওয়ামী লীগ নেত্রীর বাসা থেকে পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এরপর সংগঠন দুটি থেকেই তাদের স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়।

নিয়মিত সঠিক ও বিশ্লেষণধর্মী খবরের জন্য চোখ রাখুন businesstoday24.com-এ।