Home আইন-আদালত ফেনীতে শেখ হাসিনা-নিজাম হাজারীসহ ২২১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

ফেনীতে শেখ হাসিনা-নিজাম হাজারীসহ ২২১ জনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট

মহিপালে ছাত্র আন্দোলনে কলেজ শিক্ষার্থী মাসুম হত্যা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ফেনী: ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কলেজ শিক্ষার্থী মাহবুবুল হাসান মাসুম হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং ফেনীর দুই সাবেক সংসদ সদস্যসহ ২২১ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেনী সদর আমলী আদালতে এই অভিযোগপত্র জমা দেওয়া হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করেন ফেনীর পুলিশ সুপার মো. হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, মামলায় ১৫৬ জনের নাম এজাহারে ছিল, বাকি ৬৫ জন অজ্ঞাত। ইতোমধ্যে ৫১ জন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

তিনি জানান, তদন্তে প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে যাদের সংশ্লিষ্টতা মিলেছে, কেবল তাদেরই অভিযুক্ত করা হয়েছে। কারও রাজনৈতিক পরিচয় বা অবস্থান বিবেচনায় আনা হয়নি। ফেনীতে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ঘটনায় ২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ৭টি হত্যা ও ১৫টি হত্যাচেষ্টার মামলা। সবগুলো মামলায় মোট ৬ হাজারের বেশি আসামি রয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে এক হাজারের বেশি। ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে ১১ জন।

২০২৪ সালের ৪ আগস্ট ফেনীর মহিপালে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সহপাঠীদের সঙ্গে এক দফা দাবিতে সড়কে অবস্থান নেন কলেজ ছাত্র মাহবুবুল হাসান মাসুম। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে তিনি গুরুতর আহত হন। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ৭ আগস্ট তার মৃত্যু হয়।

নিহত মাসুম সোনাগাজীর চরচান্দিয়া ইউনিয়নের তরাব পাটোয়ারী বাড়ির মাওলানা নোমান হাসানের ছেলে। তিনি ছাগলনাইয়া আব্দুল হক চৌধুরী ডিগ্রি কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক সম্পন্ন করেন।

ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর নিহতের ভাই মোহাম্মদ মাহমুদুল হাসান বাদী হয়ে ১৬২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও কয়েকশ অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। মামলায় উল্লেখযোগ্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন ফেনী জেলা আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের একাধিক সাবেক নেতা, উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জনপ্রতিনিধিরা।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন জানান, এজাহারনামীয় ১২ জন ও সন্দেহভাজন ৩৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে মুরাদ হাসান বাবুসহ তিনজন আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

নিহত মাসুমের ভাই মাহমুদুল হাসান বলেন, “আমার ভাইয়ের মাথায় আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আমরা দ্রুত বিচার চাই।”