বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: পাত্রীর সঙ্গে সরাসরি আলাপের জন্য বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েছিলেন পশ্চিমবঙ্গের নিউ ব্যারাকপুরের সুদীপ বসু। কিন্তু সেই সাক্ষাৎ যে তাঁর জীবনের এক বিভীষিকায় পরিণত হবে, তা কল্পনাও করেননি। এক হোটেলে চা খাওয়ার সময়ই ঘটে ছকবাঁধা প্রতারণা। পাত্রীর দেওয়া চা পান করার পর সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েন তিনি। জ্ঞান ফিরতেই টের পান, তাঁর মোবাইল ও মানিব্যাগ চুরি গেছে।
এই ঘটনায় ‘পকেটমার পাত্রী’ নামে পরিচিত এক প্রতারক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের নাম জিয়া সিংহ। নিউ ব্যারাকপুরের লেনিনগড় এলাকার বাসিন্দা সুদীপ বসু থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর তদন্ত শুরু হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত ঘটে এক ঘটকালি ওয়েবসাইটে সুদীপ ও জিয়ার পরিচয়ের মাধ্যমে। গত ১ জুলাই তাঁরা একটি হোটেলে দেখা করেন। অভিযোগ, সেখানে জিয়া তাঁকে চা খাওয়ান এবং সেই চায়ের পরেই জ্ঞান হারান সুদীপ। জ্ঞান ফেরার পর দেখতে পান, পাত্রীর মতোই মোবাইল ও মানিব্যাগ উধাও। পরে জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন তিনি।
অভিযোগের ভিত্তিতে এয়ারপোর্ট থানায় ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১২৩, ৩০৩(২), ৩১৬(২) ও ৩১৮(৪) ধারায় মামলা রুজু হয়। পুলিশ জিয়াকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন করেছে।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, জিয়া চুরি করা মোবাইলটি বিক্রি করেছেন বাংলাদেশের রাজশাহী জেলার বাসিন্দা হাসান নামে এক যুবককে। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হাসান মূলত চুরি হওয়া মোবাইল কিনে সেগুলো পাচার করতেন। তাঁকে দমদম এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
৩০ জুলাই দমদম স্টেশন থেকে হাসানকে ধরার পর সে স্বীকার করেছে, জিয়ার কাছ থেকে পুরনো পণ্যের একটি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অন্তত ১০টি মোবাইল ফোন কিনেছিলেন তিনি। সেগুলো তিনি ইতিমধ্যেই বিক্রি করে দিয়েছেন। পুলিশ আরও জানিয়েছে, তিনি পার্ক স্ট্রিট সহ বিভিন্ন এলাকায় হোটেলে থেকেছেন। বর্তমানে পুলিশ খতিয়ে দেখছে তাঁর কাছে বৈধ কাগজপত্র রয়েছে কি না এবং এই চক্রে আরও কেউ জড়িত কি না।
এই ঘটনায় নতুন করে প্রশ্ন উঠছে অনলাইন মাধ্যমে বিয়ের পাত্রী বা পাত্র খোঁজার নিরাপত্তা নিয়