কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ছায়ায় ঝুঁকির মুখে পেশা
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: ট্রেন হোক বা সিনেমা, বাস হোক বা কনসার্ট—বহু বছর ধরেই মানুষ লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট কিনে এসেছে কাউন্টার থেকে। এসব কাউন্টারে যাঁরা দিনের পর দিন বসে টিকিট কেটেছেন, সিট খালি আছে কি না দেখে দিয়েছেন, তারাই ‘টিকিট বিক্রেতা’। কিন্তু এখন এই পরিচিত মুখগুলো যেন হারিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল স্ক্রিনের নিচে।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা, স্বয়ংক্রিয় বুকিং সিস্টেম এবং অ্যাপভিত্তিক প্ল্যাটফর্ম এখন পুরোপুরি পাল্টে দিচ্ছে টিকিট বিক্রির ধরন। মানুষ এখন ঘরে বসে মোবাইল বা ওয়েবসাইটে গিয়ে সিনেমা হল, ট্রেন কিংবা উড়োজাহাজের টিকিট বুক করছে। কোনো লাইনে দাঁড়াতে হচ্ছে না, কাউন্টারে যেতে হচ্ছে না, কাউকে জিজ্ঞেস করতেও হচ্ছে না—সবকিছু সামলাচ্ছে সফটওয়্যার।
বিশেষ করে স্বয়ংক্রিয় কিয়স্ক ও অনলাইন টিকিটিং সিস্টেম চালু হওয়ার পর বাসস্ট্যান্ড ও রেলস্টেশনের কাউন্টারগুলোর প্রয়োজনীয়তা উল্লেখযোগ্য হারে কমে গেছে। অনেক জায়গায় একসময় যেখানে ১০ জন কর্মী কাজ করতেন, এখন হয়তো ২ জন শুধু সফটওয়্যার তদারকির জন্য থাকেন।
বিশ্বজুড়ে রেলওয়ে, এয়ারলাইন ও বিনোদন খাতের প্রায় ৬০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান কাউন্টার হ্রাস করে ডিজিটাল বিকল্পে বিনিয়োগ করছে। ফলে, ‘টিকিট বিক্রেতা’ পেশাটি দ্রুতই বিলুপ্তির তালিকায় চলে আসছে।
এই পেশায় যাঁরা আছেন, তাঁদের করণীয় কী?
বিশেষজ্ঞদের মতে, যাঁরা এখনো এই পেশায় যুক্ত আছেন, তাঁদের জন্য প্রযুক্তি-বান্ধব দক্ষতা অর্জনই একমাত্র পথ। যেমন, অনলাইন টিকিটিং সফটওয়্যার পরিচালনা, কাস্টমার সাপোর্ট অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে কাজের প্রস্তুতি, বা ডিজিটাল বুকিং ডেটা বিশ্লেষণ শেখা।
এছাড়া, গ্রাহকসেবায় পারদর্শিতা, অভিযোগ ব্যবস্থাপনার দক্ষতা ও সফটওয়্যারে তাৎক্ষণিক সমস্যার সমাধান দেওয়ার মতো কাজগুলোতে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারলে—একই খাতে নতুন রূপে কাজের সুযোগ তৈরি হতে পারে।
কেন এই পরিবর্তন?
এই রূপান্তরের মূল কারণ হলো—খরচ কমানো ও সেবা দ্রুততর করা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর সিস্টেম ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা যায়, ভুলভ্রান্তির সম্ভাবনা কম, এবং গ্রাহক নিজেই নিজের টিকিট বেছে নিতে পারেন। ফলে, প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছে এটা বেশি লাভজনক।
আপনার মতামত শেয়ার করুন:
📌 এই প্রতিবেদন ভালো লাগলে লাইক দিন
📌 শেয়ার করুন তাঁদের সঙ্গে, যাঁরা এখনো এই পেশায় যুক্ত