৫০ হাজার টাকা জরিমানা
মোঃমাসুদ রানা, রামগড়: রামগড় পৌরসভার সোনাইপুল বাজারে এক ফার্মেসীতে বছরের পর বছর ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মজুদ রাখার চাঞ্চল্যকর ঘটনা উদঘাটন করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অভিযানে পাওয়া গেছে ২০২০, ২০২২ ও ২০২৩ সালে মেয়াদ শেষ হওয়া বিপুল পরিমাণ ওষুধ, এমনকি ২০১৮ সালে মেয়াদোত্তীর্ণ হওয়া ওষুধও ছিল বিক্রির তাকেই। শুধু তাই নয়, বহু ওষুধের গায়ে কোনো মেয়াদও লেখা ছিল না, যা ওষুধ আইনের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
শুক্রবার (৮ আগস্ট) সকালে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শামীমের নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত জননী মেডিকেল হল-এ অভিযান চালায়। দোকানের স্বত্বাধিকারী নুর হোসেনকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ মজুদ রাখার অপরাধে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড করা হয় এবং সমস্ত ওষুধ জব্দ করা হয়। এসব মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধের বাজারমূল্য আনুমানিক ৪ লাখ টাকা বলে আদালত সূত্র জানিয়েছে।
অভিযান সূত্রে জানা যায়, ফার্মেসীটিতে বহুদিন ধরে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির প্রস্তুতি চলছিল, অথচ সেগুলো সময়মতো ধ্বংস বা ফেরত দেওয়ার কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ‘ড্রাগ (কন্ট্রোল) অর্ডিন্যান্স, ১৯৮২’ এবং ড্রাগ লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী, মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ দোকানে রাখা, প্রদর্শন বা বিক্রি করা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ। এসব ওষুধ দ্রুত ধ্বংস বা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানে ফেরত পাঠানোর বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা মানা হয়নি।
অভিযানে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. রুবায়েত হোসেন, উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা জুলিয়াস চাকমা, উপজেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা ফরহাদ হোসেন, উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর রনি ত্রিপুরা এবং বাজার কমিটির সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কাজী শামীম বলেন, “জনস্বাস্থ্য সুরক্ষায় মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রি বা মজুদ কোনোভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। উপজেলার যেকোনো স্থানে প্রয়োজন হলে মোবাইল কোর্টের অভিযান চলবে।”