Home Third Lead চাঁদাবাজি ও সাদাপাথর লুট: উপজেলা বিএনপি সভাপতির পদ স্থগিত

চাঁদাবাজি ও সাদাপাথর লুট: উপজেলা বিএনপি সভাপতির পদ স্থগিত

সাহাব উদ্দিন
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সিলেট: দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গ ও অনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাহাব উদ্দিনের সব পদ স্থগিত করেছে বিএনপি। তার স্থলে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি হাজী আব্দুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

সোমবার (১১ আগস্ট) রাতে বিএনপির ভেরিফাইড ফেসবুক পেইজে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চাঁদাবাজি, দখলবাজিসহ দলের আদর্শ ও নীতি পরিপন্থি কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সুস্পষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও উল্লেখ করা হয়, কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের তদন্ত শেষে তার সব পদ স্থগিত করা হয়েছে এবং এ সিদ্ধান্ত পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহাল থাকবে। একই সঙ্গে উপজেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আব্দুল মান্নানকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করতে বলা হয়েছে।

দলীয় সূত্র জানায়, সাহাব উদ্দিনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন ধরে নানা ধরনের অভিযোগ ছিল। এর মধ্যে রয়েছে চাঁদাবাজি, সরকারি জমি দখল, অবৈধভাবে সাদাপাথর উত্তোলন এবং উপজেলা বিএনপির মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি। এসব কারণে দলের স্থানীয় পর্যায়ে উত্তেজনা বেড়ে যায় এবং কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দৃষ্টি আকর্ষণ করে।

স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানিয়েছেন, সাহাব উদ্দিনের কর্মকাণ্ডে উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল। একাধিক ক্ষেত্রে দলের কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাধা সৃষ্টি হয় এবং অভ্যন্তরীণ বিরোধ প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে দীর্ঘ আলোচনার পর কেন্দ্রীয় নেতারা পদস্থগিতের সিদ্ধান্ত নেন।

উল্লেখ্য, সাহাব উদ্দিন সাম্প্রতিক সময়ে সিলেটের আলোচিত ভোলাগঞ্জ সাদাপাথর পর্যটনকেন্দ্রে অবৈধ পাথর উত্তোলন সংক্রান্ত বিতর্কের সঙ্গেও যুক্ত থাকার অভিযোগের মুখে পড়েন। যদিও তিনি এ বিষয়ে প্রকাশ্যে কোনো মন্তব্য করেননি, তবে স্থানীয় রাজনৈতিক মহলে বিষয়টি ব্যাপক আলোচনার জন্ম দেয়।

দলীয় সিদ্ধান্ত কার্যকর হওয়ার পর থেকেই উপজেলা বিএনপির রাজনীতিতে নতুন সমীকরণ তৈরি হতে শুরু করেছে। অনেক নেতাকর্মী মনে করছেন, নতুন নেতৃত্বের হাতে সাংগঠনিক কাজ আরও গতিশীল হবে। অন্যদিকে সাহাব উদ্দিনের ঘনিষ্ঠ মহল এই সিদ্ধান্তে অসন্তোষ প্রকাশ করেছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতারা জানিয়েছেন, দলের শৃঙ্খলা রক্ষা এবং অনৈতিক কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতা নীতি বাস্তবায়নে এ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি, এতে দলের ভাবমূর্তি রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে ন্যায্য নেতৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হবে।