মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২০ সালের ৪ আগস্ট দুদকের উপ-পরিচালক পাপিয়া দম্পতির বিরুদ্ধে সোয়া ৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। তদন্তে জানা যায়, পাপিয়া দম্পতির দখলে থাকা অবৈধ সম্পদ প্রায় ৫ কোটি ৮৪ লাখ ১৮ হাজার ৭১৮ টাকা।
মামলায় বলা হয়, পাপিয়া গুলশানের ওয়েস্টিন হোটেলের প্রেসিডেনসিয়াল ও চেয়ারম্যান স্যুটসহ ২৫টি কক্ষে থাকার খরচ বাবদ ৩ কোটি ২৩ লাখ ২৪ হাজার ৭৬১ টাকা নগদ পরিশোধ করেছেন। এছাড়া ওয়েস্টিন হোটেলে অবস্থানের সময়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকার কেনাকাটা করেছেন, যা বৈধভাবে উৎস প্রমাণ করতে পারেননি। ২০১৫ থেকে ২০২০ সালের মধ্যে মাসে ৫০ হাজার টাকা করে ৩০ লাখ টাকা বাসা ভাড়া দিয়েছেন। গাড়ি ব্যবসা ও কার ওয়াশ সলিউশনে মিলিয়ে আরও কোটি টাকা বিনিয়োগ করেছেন। বিভিন্ন ব্যাংকে তাদের নামে ৩০ লাখ ৫২ হাজার ৯৫৮ টাকা জমানো ছিল, যা বৈধ উৎস প্রমাণ করা যায়নি।
২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি পাপিয়া ও তার স্বামীকে ঢাকার শাহজালাল বিমানবন্দর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে ঢাকাসহ নরসিংদীর পাপিয়ার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে বিপুল সম্পদ জব্দ করা হয়। এসময় নগদ ৫৮ লাখ ৪১ হাজার টাকা এবং মফিজুর রহমান সুমনের নামে হোন্ডা সিভিএ ২০১২ মডেলের একটি গাড়ি (মূল্য ২২ লাখ টাকা) পাওয়া যায়।