বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, বরিশাল: মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার বলেছেন, ইলিশ মাছ সংরক্ষণে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো ঝাটকা নিধন। তিনি বলেন, “যদিও কোস্টগার্ড ও নৌবাহিনী অভিযান চালাচ্ছে, তা সত্ত্বেও ঝাটকা নিধন সম্পূর্ণভাবে বন্ধ করা সম্ভব হয়নি। পাশাপাশি অবৈধ জালের ব্যবহার ইলিশের প্রাপ্যতা কমাচ্ছে। তবে এসবের বিরুদ্ধে আমরা কার্যকর ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং আশা করছি খুব শীঘ্রই ইলিশের দাম নিয়ন্ত্রণে আসবে।”
সোমবার (২৫ আগস্ট) বরিশাল ক্লাব প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত “উপকুলীয় এলাকার মহিষের চারণভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা এবং সাধন” শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন।
উপদেষ্টা ফরিদা আক্তার জানান, খুব শীঘ্রই ঢাকায় একটি মিটিং অনুষ্ঠিত হবে। সেখানে নদী থেকে মাছ ধরে হাত বদলের সিন্ডিকেট বন্ধ করার পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। “এ উদ্যোগের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ সরাসরি বাজারে মাছ পাবে এবং সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে আসবে।”
তিনি আরও বলেন, ইলিশের উৎপাদন কমার পেছনে প্রাকৃতিক কারণও রয়েছে। নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে, মেঘনা নদীর অববাহিকায় দূষণের মাত্রা বেড়েছে। আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে বৃষ্টিপাত না হলে ইলিশ ডিম পাড়তে পারে না। এছাড়া বিভিন্ন প্রকৃতিক কারণে এবং তথাকথিত উন্নয়নের কারণে নদী ভরাট ও দখল হয়ে যাচ্ছে।
ফরিদা আক্তার আরও বলেন, “ইলিশ একটি মাইগ্রেটরি মাছ। এটি সমুদ্র থেকে নদীতে আসে এবং আবার ফিরে যেতে হয়। কিন্তু বর্তমানে এটি হচ্ছে না। উপকূলে মহিষের চারণভূমি সংকুচিত হয়ে গেছে। বাড়িঘর নির্মাণ, এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও চারণভূমিতে তৈরি হচ্ছে। গরু, ছাগল ও মহিষ পালন অন্তত মানুষের খাদ্য ও জীবন রক্ষার জন্য জরুরি। চারণভূমি বিষয়ে আমরা দেখছি অনেক কিছু পরিকল্পনা বিহীনভাবে করা হচ্ছে। তবে সঠিক নীতি ও ব্যবস্থা নিলে এটি দেশের খাদ্য নিরাপত্তায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারবে।”
কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন পিকেএসএফের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ এবং বরিশাল বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
