Home আন্তর্জাতিক যুক্তরাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত শাবানা মাহমুদ

যুক্তরাজ্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী হলেন পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত শাবানা মাহমুদ

শাবানা মাহমুদ
আজহার মুনিম, লন্ডন: যুক্তরাজ্যের মন্ত্রিসভায় বড় ধরনের রদবদলের অংশ হিসেবে পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত এমপি শাবানা মাহমুদকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী (হোম সেক্রেটারি) হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শুক্রবার এই পদ পরিবর্তন করা হয় উপপ্রধানমন্ত্রী অ্যাঞ্জেলা রেইনারের পদত্যাগের পর। রেইনার নতুন বাড়ির সম্পত্তি কর কম পরিশোধ করায় ভুল স্বীকার করে দায়িত্ব ছাড়েন।

ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার মন্ত্রিসভায় একযোগে কয়েকটি পদে পরিবর্তন আনেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিকে করা হয়েছে নতুন উপপ্রধানমন্ত্রী, আর তার স্থলাভিষিক্ত হয়েছেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ইয়েভেট কুপার। কুপারের জায়গায় দায়িত্ব পেয়েছেন বিচারমন্ত্রী শাবানা মাহমুদ। ফলে মন্ত্রিসভায় অভিজ্ঞ ও বিশ্বস্ত নেতাদেরকেই অগ্রাধিকার দেওয়া হয়েছে।

শাবানা মাহমুদ (৪৪) লেবার পার্টির এক নির্ভরযোগ্য নেতা হিসেবে পরিচিত। বিচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলানোর সময় সাহসী সিদ্ধান্ত নেওয়ার কারণে দলের ভেতরে তাকে নির্ভরযোগ্য রাজনীতিক হিসেবে দেখা হয়।

অ্যাঞ্জেলা রেইনারের পদত্যাগ স্টারমারের জন্য বড় ধাক্কা। স্বাধীন উপদেষ্টার প্রতিবেদনে বলা হয়, রেইনার মন্ত্রীসভার আচরণবিধি ভঙ্গ করেছেন কারণ তিনি বাড়ি কেনার সময় অতিরিক্ত কর এড়িয়ে গেছেন। প্রায় ৪০ হাজার পাউন্ড কর ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগ ওঠার পর প্রথমে স্টারমার তাকে সমর্থন করলেও শেষ পর্যন্ত রেইনার ক্ষমা চেয়ে দায়িত্ব ছাড়তে বাধ্য হন।

রেইনার পদত্যাগপত্রে লিখেছেন, “আমি গভীরভাবে অনুতপ্ত যে বিশেষজ্ঞ কর পরামর্শ নেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি।” তিনি শুধু মন্ত্রীত্ব নয়, দলীয় উপনেতার পদ থেকেও সরে দাঁড়িয়েছেন। এখন ডেভিড ল্যামিই উপনেতা হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে আছেন।

এই পদত্যাগ লেবার সরকারের জন্য বড় সংকট তৈরি করেছে। সাম্প্রতিক জরিপে দেখা যাচ্ছে, নাইজেল ফারাজের নেতৃত্বাধীন রিফর্ম ইউকে দল জনপ্রিয়তায় লেবারকে পিছনে ফেলেছে। ফারাজ রেইনার ইস্যুতে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে বলেছেন, “যে রাজনীতি নতুন, ভিন্ন হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তা আগের মতোই বা তার থেকেও খারাপ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, স্টারমারের নেতৃত্বে লেবার পার্টি বর্তমানে দিকহারা অবস্থায় আছে। মন্ত্রীসভার এ রদবদল তার কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার চেষ্টা হলেও দল ও সরকারের ভেতর অনিশ্চয়তা বাড়ছে।