Home আন্তর্জাতিক নেপাল: সুশীলা-বলেন্দ্রকে টপকে এগিয়ে কুল মান ঘিসিং!

নেপাল: সুশীলা-বলেন্দ্রকে টপকে এগিয়ে কুল মান ঘিসিং!

কুল মান ঘিসিং
রামেশ ভট্টরায়, কাঠমান্ডু: সুশীলা কারকি এবং বলেন্দ্র শাহের পাশাপাশি, নেপালের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের দৌড়ে কুল মান ঘিসিংয়ের নাম উঠে এসেছে এবং তিনি এই দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে রয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের কাছে তাঁর চাহিদা বৃদ্ধির কয়েকটি প্রধান কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:

পেশাগত পরিচিতি ও যোগ্যতা: কুল মান ঘিসিং একজন ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং পরামর্শদাতা। তিনি নেপাল ইলেকট্রিসিটি অথরিটির (NEA) অধিকর্তা হিসেবে কাজ করেছেন।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে অবস্থান: নেপালের সংবাদমাধ্যমগুলির প্রতিবেদন অনুযায়ী, কুল মানের জনপ্রিয়তার অন্যতম কারণ হলো তিনি দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরব ছিলেন।

বিদ্যুৎ বিভ্রাট সমস্যার সমাধান: তাঁর উদ্যোগেই নেপালের দীর্ঘদিনের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সমস্যা সমাধান হয়েছে এবং লোডশেডিং সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে গেছে, যার জন্য নেপালি জনগণ তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞ।

শিক্ষাগত পটভূমি: ১৯৭০ সালের ২৫ নভেম্বর নেপালের রামেছাপ জেলায় তাঁর জন্ম। তাঁর স্কুল জীবন নেপালে কাটলেও, উচ্চশিক্ষার জন্য তিনি ভারতে আসেন এবং ঝাড়খণ্ডের জামশেদপুরের রিজিওনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি (আরআইটি) থেকে ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পড়াশোনা করেন। এরপর তিনি নেপালের পুলচওক ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজেও পড়াশোনা করেন।

NEA-তে অবদান: ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত তিনি NEA-এর অধিকর্তা হিসেবে প্রথম মেয়াদে কাজ করেন এবং ২০২১ থেকে ২০২৫ সাল পর্যন্ত দ্বিতীয়বারের মতো তাঁকে এই পদে বহাল রাখা হয়েছিল। অধিকর্তা হওয়ার পর তাঁর প্রথম কাজ ছিল নেপালের লোডশেডিংয়ের সমস্যা স্থায়ীভাবে দূর করা। তাঁর সময়েই বিদ্যুৎ উৎপাদন, বণ্টন ব্যবস্থা এবং বিদ্যুৎ চুরিতে আমূল পরিবর্তন আসে, এমনকি বিদ্যুৎ বিল এবং বিদ্যুৎ আমদানি-রপ্তানির ক্ষেত্রেও পরিবর্তন আসে।

জনপ্রিয়তা: তাঁর সততা এবং বিদ্যুৎ পরিষেবা উন্নত করার ক্ষেত্রে তাঁর প্রচেষ্টার কারণে যুব সম্প্রদায় সহ নেপালবাসীর কাছে তাঁর ব্যাপক জনপ্রিয়তা রয়েছে।

২০২৫ সালের মার্চ মাসে সময় মতো রিপোর্ট জমা না দেওয়া, ভারতের সঙ্গে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনায় অনুমোদন না নেওয়া এবং সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করার মতো অভিযোগ তুলে তাঁকে অধিকর্তার পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তবে এই অভিযোগগুলি তাঁর ভাবমূর্তি বা জনপ্রিয়তায় কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি। বিদ্যুৎ পরিষেবা নিয়ে নাজেহাল নেপালবাসীর কাছে তিনি একজন ত্রাতা হিসেবে বিবেচিত হন, এবং এই কারণেই বিক্ষোভকারীরা তাঁকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের পদে দেখতে চাইছেন।