Home কলকাতা চট্টগ্রামে বাপের বাড়ির নামে পেট্রাপোলে ফাহিমাকে রেখে পালিয়ে গেলেন শ্বশুর

চট্টগ্রামে বাপের বাড়ির নামে পেট্রাপোলে ফাহিমাকে রেখে পালিয়ে গেলেন শ্বশুর

ফাহিমা
কৃষ্ণা বসু, কলকাতা: দুই পুত্রসন্তানসহ বাংলাদেশি বধূকে সীমান্তে ফেলে পালানোর অভিযোগ উঠেছে চাচা শ্বশুরের বিরুদ্ধে। পরে পুলিশ ওই অন্তঃসত্ত্বা মহিলাকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতের নাম ফাহিমা আক্তার, তিনি বাংলাদেশের চট্টগ্রামের বাসিন্দা।

জানা গেছে, ফাহিমা দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছিলেন। রবিবার বাংলাদেশে বাপের বাড়িতে নেওয়ার নাম করে চাচা শ্বশুর তাঁকে পেট্রাপোল সীমান্তে নিয়ে আসেন। এরপর একটি হোটেলে ফাহিমা ও তাঁর দুই সন্তানকে বসিয়ে রেখে ফল আনতে যাওয়ার নাম করে পালিয়ে যান। সারাদিন ফাহিমা সীমান্তের আশেপাশে ঘোরাঘুরি করেন। স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তাঁরা থানায় খবর দেন।

পেট্রাপোল থানার পুলিশ ফাহিমাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তিনি বাংলাদেশের নাগরিক এবং দেশে আসার বৈধ কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। এ কারণে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

ফাহিমার সঙ্গে ছয় বছর আগে ক্যানিংয়ের বাসিন্দা মিলন শেখ বিয়ে করেন। মিলন ছোটবেলা থেকে মায়ের সঙ্গে বাংলাদেশে ছিলেন। দম্পতির দুই পুত্র সন্তান রয়েছে—এক চার বছরের এবং এক দুই বছরের। নয় মাস আগে ফাহিমা স্বামীর সঙ্গে চোরাপথে ক্যানিংয়ে শ্বশুরবাড়িতে আসেন। অভিযোগ, সেখান থেকে তাঁর ওপর নানা ধরনের অত্যাচার শুরু হয় এবং বাপের বাড়িতে ফিরে যাওয়ার জন্য চাপ দেওয়া হয়।

রবিবারের ঘটনার দিন, বাপের বাড়িতে নেওয়ার নাম করে চাচা শ্বশুর ফাহিমা ও দুই সন্তানকে পেট্রাপোল সীমান্তে নিয়ে আসেন। হোটেলে বসিয়ে রাখার পর বাড়ির জন্য ফল কিনে আনবেন বলে তিনি পালিয়ে যান। এরপর স্থানীয়রা মহিলাকে দেখে সন্দেহ করেন। ফাহিমা জানিয়েছেন, “আমাকে দেশে পাঠানোর উদ্দেশ্যে সীমান্তে নিয়ে এসেছিলেন, কিন্তু পরে ফল কেনার নাম করে চলে যান।”

সোমবার ধৃত ফাহিমাকে বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এই ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন এবং পুলিশ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করছে।