Home কৃষি দুগ্ধ ও মাংসভিত্তিক শিল্পে রপ্তানির দ্বার খুলছে বাংলাদেশ

দুগ্ধ ও মাংসভিত্তিক শিল্পে রপ্তানির দ্বার খুলছে বাংলাদেশ

বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক শিল্প সম্ভাবনা

নয়ন দাস, কুড়িগ্রাম: বাংলাদেশে দ্রুত বিকশিত হচ্ছে দুগ্ধ ও মাংসভিত্তিক শিল্প। দেশে উৎপাদিত দুধ ও মাংস এখন শুধু স্থানীয় চাহিদাই মেটাচ্ছে না, বরং আন্তর্জাতিক বাজারেও প্রবেশের দ্বার খুলছে। সরকার বলছে, এ খাত আগামী এক দশকের মধ্যে কৃষিভিত্তিক শিল্পের অন্যতম প্রধান রপ্তানি আয়ের উৎসে পরিণত হতে পারে।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের হিসাব অনুযায়ী, দেশে বছরে প্রায় ১ কোটি ২০ লাখ মেট্রিক টন দুধ ও ৭০ লাখ টন মাংস উৎপাদিত হয়। তবে প্রক্রিয়াজাত শিল্পের সক্ষমতা সীমিত থাকায় এ খাতের সম্ভাবনা পুরোপুরি কাজে লাগানো সম্ভব হয়নি।

বাংলাদেশ দুগ্ধ উৎপাদক সমবায় ইউনিয়ন লিমিটেডের (মিল্ক ভিটা) এর এক কর্মকর্তা বলেন, “কেবল কাঁচা দুধ বিক্রির দিন শেষ। প্যাকেটজাত দুধ, চিজ, ঘি ও আইসক্রিমে বাংলাদেশ বড় বাজার ধরতে পারবে।”

অন্যদিকে মাংসভিত্তিক শিল্পেও গতি এসেছে। ইতোমধ্যেই মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশে বাংলাদেশি মুরগি ও গরুর মাংস রপ্তানি শুরু হয়েছে। মাননিয়ন্ত্রণ ও হিমায়ন সুবিধা জোরদার করা গেলে বছরে অন্তত এক বিলিয়ন মার্কিন ডলার মাংস রপ্তানি সম্ভব।

উত্তরাঞ্চল ও মধ্যাঞ্চলে হাজার হাজার ক্ষুদ্র খামারিরা এখন দুধ ও মাংস উৎপাদনের সঙ্গে যুক্ত। এ খাত থেকে শুধু অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিই নয়, বিপুল কর্মসংস্থানও সৃষ্টি হচ্ছে।

তবে খাতটি এখনো নানা চ্যালেঞ্জের মুখে। পশুখাদ্যের দাম বাড়ায় খামারির খরচ বেড়েছে, হিমাগার ও আধুনিক প্রক্রিয়াজাতকরণ সুবিধার অভাব রয়েছে। এছাড়া আন্তর্জাতিক বাজারে স্যানিটারি ও ফাইটোস্যানিটারি মান বজায় রাখাও বড় চ্যালেঞ্জ।

সরকার জানিয়েছে, দুগ্ধ উন্নয়ন প্রকল্প ও মাংস প্রক্রিয়াজাত শিল্প সম্প্রসারণে বিশেষ প্রণোদনা দেওয়া হচ্ছে। শিল্প বিশেষজ্ঞদের আশা, নীতি সহায়তা ও প্রযুক্তি ব্যবহারে এই খাত খুব শিগগিরই বাংলাদেশের কৃষিভিত্তিক শিল্পে নতুন শক্তি হয়ে উঠবে।