বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: ফটোশপ মানেই এত দিন ছবি সম্পাদনার অপরিহার্য হাতিয়ার। কিন্তু কৃত্রিম মেধার বিস্তার সেই ধারণাকে নড়বড়ে করে তুলছে। মার্কিন টেক জায়ান্ট গুগল সম্প্রতি বাজারে এনেছে জেমিনাই নামের এআই ফিচার, যার ছবি নির্মাণকারী টুলের নাম ‘ন্যানো বানানা’। এই প্রযুক্তি চোখের পলকে একেবারে বাস্তবসম্মত প্রতিমূর্তি তৈরি করতে পারছে। ফলে অনেকেই ভাবছেন, ফটোশপের দিন কি তবে শেষ হয়ে এল?
যেমন করে স্মার্টফোন আগমনের পর আলাদা অ্যালার্ম ঘড়ি, ক্যালকুলেটর বা ফ্যাক্স মেশিন প্রায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছে, তেমনই কি ধীরে ধীরে মুছে যাবে ফটোশপের ব্যবহার? এই প্রশ্ন এখন প্রযুক্তি মহলে আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু।
তবে বিশ্লেষকদের মতে, এখনই এমন আশঙ্কা পুরোপুরি সত্য নয়। কারণ ‘ন্যানো বানানা’ যতই নিখুঁতভাবে কোনও ব্যক্তির প্রতিরূপ তৈরি করুক না কেন, তাতে এখনও খুঁত রয়ে যাচ্ছে। সূক্ষ্ম পর্যবেক্ষণে দেখা যায়, ছবির মধ্যে কিছু বিকৃতি বা ছোটখাটো ভুল থেকে যাচ্ছে। আর এই ঘাটতিই পূরণ করতে হয় ফটোশপ বা অন্য সম্পাদনা সফটওয়্যারের মাধ্যমে।
অতীতেও এআই-ভিত্তিক ছবি নির্মাণ হয়েছে, তবে সেগুলি মূল প্রতিমূর্তির সঙ্গে পুরোপুরি মিলত না। কয়েক বার একই ছবি তৈরি করলে প্রতিবারই আলাদা হয়ে যেত। কিন্তু গুগলের নতুন প্রযুক্তি সেই সীমাবদ্ধতাকে অনেকটাই পেরিয়ে গেছে। একেবারে হুবহু প্রতিলিপি তৈরি করাই এর বিশেষত্ব।
তবু চূড়ান্ত পর্যায়ে গিয়ে ভুল এড়ানো যায় না। সেজন্যই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নিকট ভবিষ্যতে ফটোশপ পুরোপুরি অপ্রয়োজনীয় হয়ে যাবে না। বরং এআই টুল আর ফটোশপ একসঙ্গে ব্যবহার করলে চূড়ান্ত মানের ছবি পাওয়া সম্ভব হবে।
অতএব বলা যায়, ‘ন্যানো বানানা’ নিঃসন্দেহে ভবিষ্যতের ছবি সম্পাদনায় এক নতুন দিগন্ত খুলে দিচ্ছে। কিন্তু এখনই ফটোশপকে বিদায় জানানোর সময় আসেনি। বরং আগামী দিনের লড়াই হবে এআই টুলের গতি বনাম ফটোশপের নিখুঁততা এই দুইয়ের মেলবন্ধনে।