আন্তর্জাতিক ডেস্ক: মধ্য এশিয়ার একটি মুসলিম অধ্যুষিত দেশ সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে সোনার ক্রয়ে। চলতি বছরের অগস্ট মাসে এই দেশটি একাই অর্ধেকের বেশি সোনা কিনেছে, যার ফলে তাদের মজুত সোনার পরিমাণ ৩১৬ টনে পৌঁছে গেছে। টানা ছয় মাস ধরে ক্রমাগত সোনা কেনার ফলে তারা ৩০০ টনের সীমা অতিক্রম করেছে।
বিশ্বের অন্যান্য শক্তিধর দেশগুলো চিন, জার্মানি, ইতালি ও পোল্যান্ডকে পেছনে ফেলে এ মাসে সোনার বাজারে প্রথম অবস্থান অধিকার করেছে কাজাখস্তান। আন্তর্জাতিক বাজারে বিভিন্ন দেশের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক মিলে অগাস্টে ১৫ টন সোনা কিনেছে, যার মধ্যে কাজাখস্তান একাই ৮ টন কিনেছে।
এছাড়া উজ়বেকিস্তান, তুরস্ক, বুলগেরিয়া, ঘানা ও চেক রিপাবলিকও তাদের সোনার মজুত বৃদ্ধি করেছে। তুরস্ক ও চিন দু’দেশই দুই টন করে সোনা কিনেছে। রাশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া তাদের সোনার মজুত কমিয়েছে।
চলতি বছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে কাজাখস্তান ধারাবাহিকভাবে সোনা কিনেছে। জানুয়ারি থেকে মার্চে তারা ৬.৪৫ টন সোনা ক্রয় করেছে। দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এ সংখ্যা ১৬ টনের কাছাকাছি পৌঁছেছে। ২০২৪ সালের তুলনায় এবার ৩২ টন বেশি সোনা মজুত হয়েছে।
বিশ্বব্যাপী সোনার ক্রয় ও মজুতের এই ধারা অর্থনীতিতে নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্কগুলোর একটি গুরুত্বপূর্ণ কৌশল হিসেবে দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৈদেশিক মুদ্রার উপর একনিষ্ঠ নির্ভরতা কমাতে এবং বিশ্ব রাজনীতির অস্থিরতার প্রভাব কমাতে দেশগুলো স্বর্ণসঞ্চয়ে জোর দিচ্ছে।
বর্তমানে বিশ্বের শীর্ষ সোনার মজুতদার রাষ্ট্র হলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, যার ভান্ডারে ৮,১৩৩ টন সোনা রয়েছে। এরপর অবস্থান করছে জার্মানি (৩,৩৫০ টন), ইটালি (২,৪৫২ টন), ফ্রান্স (২,৪৩৭ টন), রাশিয়া (২,৩৩০ টন) ও চিন (২,৩০১ টন)।
অর্থনীতিবিদরা মনে করেন, সোনা সবসময়ই নিরাপদ বিনিয়োগের অন্যতম মাধ্যম। দেশের অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা, মুদ্রার মান নিয়ন্ত্রণ এবং বৈদেশিক ঝুঁকি কমানোর ক্ষেত্রে সোনা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।