আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ২০২৫ সালের নোবেল শান্তি পুরস্কারের বিজয়ী হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে ভেনেজুয়েলার রাজনৈতিক নেতা ও মানবাধিকার কর্মী মারিয়া করিনা মাচাডোকে। শুক্রবার অসলোতে নরওয়ের নোবেল কমিটি তার নাম প্রকাশ করেছে। বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, মঙ্গলবারই ছিল মারিয়ার জন্মদিন।
মারিয়া করিনা মাচাডো দীর্ঘদিন ধরে ভেনেজুয়েলায় নাগরিকদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছেন। একনায়কতন্ত্রের প্রভাবে বিচ্ছিন্ন হওয়া দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনতে এবং বিরোধীদলগুলিকে একত্রিত করে অবাধ নির্বাচন ও প্রতিনিধিত্বমূলক সরকারের দাবি তুলতে মারিয়ার ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। নরওয়ের নোবেল কমিটির চেয়ারম্যান জর্জেন ওয়াটনে ফ্রাইডনেস জানান, “ভেনেজুয়েলার বিরোধীদল একসময় দ্বিধাবিভক্ত ছিল। তাদের একত্রিত করার কৃতিত্ব মারিয়ারই। তার নেতৃত্বে দেশবাসী গণতান্ত্রিক অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কার্যকরভাবে সচেতন হয়েছেন।”
চলতি বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ৩৩৮টি মনোনয়ন জমা পড়েছিল। এর মধ্যে ৯৪টি মনোনয়ন ছিল বিভিন্ন সংগঠনের। মনোনয়ন তালিকায় ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও। ট্রাম্প ইতিমধ্যেই বিভিন্নবার বিশ্বে যুদ্ধ বন্ধে তার ভূমিকার দাবি করেছেন এবং নিজেও নোবেল শান্তি পুরস্কারের দাবিদার বলে উল্লেখ করেছেন। সম্প্রতি হোয়াইট হাউসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাঁর একটি ছবি পোস্ট করে “দ্য পিস প্রেসিডেন্ট” বা “শান্তির প্রেসিডেন্ট” হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছিল। তবে সব জল্পনার মাঝেও, শেষ পর্যন্ত এই বছর নোবেল শান্তি পুরস্কার পেলেন ভেনেজুয়েলার বিরোধী দলনেত্রী মারিয়া করিনা মাচাডো।
মারিয়ার এই বিজয় ভেনেজুয়েলার গণতান্ত্রিক আন্দোলনের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি হিসেবেও দেখা হচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, তার নেতৃত্বের ফলে দেশটিতে রাজনৈতিক সংহতি ও নাগরিক অধিকার প্রতিষ্ঠার পথ আরও শক্তিশালী হয়েছে।