Home চট্টগ্রাম নির্বাচনের আগে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণের দাবি জানালেন আমীর খসরু

নির্বাচনের আগে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের অপসারণের দাবি জানালেন আমীর খসরু

আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: অন্তর্বর্তী সরকারে থাকা বিতর্কিত উপদেষ্টাদের নির্বাচনের আগে বিদায় নিতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। তিনি বলেন, যেহেতু নির্বাচনের আগে আর কোনো তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠিত হবে না, তাই বর্তমান সরকারকেই এখন কেয়ারটেকার সরকারের ভূমিকা পালন করতে হবে।

বুধবার জাতীয় প্রেসক্লাবের আবদুস সালাম মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনের গুরুত্ব’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন। অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল ও মুক্তিযুদ্ধের প্রজন্ম।

আমীর খসরু বলেন, “একটা সুন্দর নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা চাই একটা ভালো পরিবর্তন। যারা সরকারে আছেন, অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি আমাদের সম্মান আছে, আমরা চাই তারা সম্মানের সঙ্গে দায়িত্ব শেষ করুন। কিন্তু কিছু ব্যক্তির কর্মকাণ্ডে সেই পরিবেশ বিঘ্নিত হতে পারে। তাই বলছি, পুরোপুরি কেয়ারটেকার সরকারের মুডে চলে যান। যাদের নিয়ে বিতর্ক আছে, তাদের সরকারে থাকা উচিত নয়। তারা থাকলে সরকারের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ হবে।”

তিনি আরও বলেন, সরকারের ভেতরে-বাইরে যাদের কারণে নিরপেক্ষতা ব্যাহত হতে পারে, তাদের রেখে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। বেশ কিছু উপদেষ্টা নীতিনির্ধারণ ও পদায়নের ক্ষেত্রে প্রভাব বিস্তার করেছেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি। তাই যাদের নিয়ে প্রশ্ন আছে বা যারা নির্বাচনে অংশ নেবেন কিংবা কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত, তাদের সরকারে থাকা উচিত নয় বলে মন্তব্য করেন বিএনপির এ নেতা।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা কী হবে, তা সংবিধানে নির্ধারিত আছে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, “এই সরকারই আগামী নির্বাচনে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের ভূমিকা পালন করবে। তাই সংবিধানে যেভাবে নিরপেক্ষ সরকারের কথা বলা হয়েছে, এখন থেকেই সেই চরিত্রে সরকারকে পরিচালিত হতে হবে। গুরুত্বপূর্ণ কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া এখন উচিত নয়।”

নির্বাচনে নিরপেক্ষতার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, “নিরপেক্ষতা হচ্ছে নির্বাচনের প্রথম পূর্বশর্ত। এ জন্যই আমরা ১৭ বছর ধরে লড়াই করেছি। নিরপেক্ষতা না থাকলে নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ হবে এবং অশুভ শক্তি মাথাচাড়া দেবে।”

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত। অনুষ্ঠানে বিএনপির আরও কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা বক্তব্য রাখেন।