Home First Lead সপ্তাহের মধ্যে দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে পেঁয়াজ আমদানি

সপ্তাহের মধ্যে দাম নিয়ন্ত্রণে না এলে পেঁয়াজ আমদানি

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: পেঁয়াজের দামে চলমান উল্লম্ফন নিয়ন্ত্রণে সরকার কঠোর অবস্থানে রয়েছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন জানিয়েছেন, চলতি সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কাঙ্ক্ষিত পর্যায়ে নেমে না এলে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেন, বর্তমানে দেশের অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত পেঁয়াজ মজুত রয়েছে। 

রবিবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীন বলেন, “স্থলবন্দরের ওপাশে অনেক পেঁয়াজ মজুত করা হয়েছে। আমরা যদি আমদানির অনুমতি দেই, তবে স্বাভাবিকভাবে বাজারে ধস নামবে। আমরা ধস নামাতে চাই না।” সরকারের লক্ষ্য হলো কৃষক ও ভোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করে একটি স্বাভাবিক মূল্য পরিস্থিতি বজায় রাখা।

বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় সাড়ে তিন লাখ টনের মতো পেঁয়াজ মজুত আছে। এর পাশাপাশি চলতি মাসের মধ্যে আরও ৮৫ থেকে ৮৭ হাজার টন এবং আগামী মাসে আড়াই লাখ টন পেঁয়াজ বাজারে আসবে। উপদেষ্টা জোর দিয়ে বলেছেন, দেশে পেঁয়াজের কোনো সংকট নেই, বরং এ বছর বাম্পার ফলন হয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় পেঁয়াজ সংরক্ষণে সুবিধার জন্য ১০ হাজার হাই ফ্লো মেশিন বিতরণ করেছে, যা সংরক্ষণ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটিয়েছে।

গত এক থেকে দুই সপ্তাহ ধরে পেঁয়াজের মূল্যের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে, যেখানে কয়েক দিনের ব্যবধানে প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৪০-৫০ টাকা বেড়ে গেছে। বাণিজ্য উপদেষ্টা এই মূল্যবৃদ্ধির পেছনে কয়েকটি কারণ উল্লেখ করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে মৌসুমের শেষ সময়, শুকিয়ে পেঁয়াজের ওজন কমে যাওয়া এবং হাই-ফ্লো মেশিন ব্যবহার করে পেঁয়াজ সংরক্ষণে জড়িত ব্যয়। তিনি স্পষ্ট করেছেন যে, এই মুহূর্তে কৃষকের কাছে পেঁয়াজ নেই, তাই বাড়তি দামের টাকা কৃষকের পকেটে যাচ্ছে না।

ইতিমধ্যেই ২ হাজার ৮০০-এর মতো পেঁয়াজ আমদানির আবেদন জমা পড়েছে। উপদেষ্টা জানান, চলতি সপ্তাহের মধ্যে যদি দাম স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে না আসে, তবে সরকার আমদানির অনুমোদন ইস্যু করে দেবে। তবে, দাম স্বাভাবিক হলে আমদানির অনুমতি দেওয়া হবে না, যাতে দেশীয় কৃষকরা ক্ষতিগ্রস্ত না হন।