Home Second Lead দেশে ১০০ নতুন গ্যাস কূপ খননে পেট্রোবাংলার উদ্যোগ

দেশে ১০০ নতুন গ্যাস কূপ খননে পেট্রোবাংলার উদ্যোগ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: দেশের বিভিন্ন ব্লকে নতুন গ্যাস অনুসন্ধান ও উৎপাদন বাড়াতে ১০০টি নতুন কূপ খনন কার্যক্রম জোরদার করেছে বাংলাদেশ তেল, গ্যাস ও খনিজসম্পদ করপোরেশন (পেট্রোবাংলা)।

বুধবার (১২ নভেম্বর) পেট্রোবাংলা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, দেশের জ্বালানি সংকট মোকাবিলায় দেশীয় উৎস থেকে গ্যাস উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়াতে প্রতিষ্ঠানটি পরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। এতে জ্বালানির চাহিদা ও সরবরাহের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ২০২৫-২৬ অর্থবছরে ৫০টি এবং ২০২৬-২৮ অর্থবছরে আরও ১০০টি কূপ খনন ও ওয়ার্কওভার করার পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে দেশের বিভিন্ন ব্লকে অনুসন্ধান ও খনন কার্যক্রম ইতোমধ্যে জোরদার করা হয়েছে।

বাপেক্সের (বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম এক্সপ্লোরেশন অ্যান্ড প্রোডাকশন কোম্পানি লিমিটেড) নেতৃত্বে জামালপুর-১ অনুসন্ধান কূপ খননের মাধ্যমে দেশের ব্লক-৮ এ প্রথমবারের মতো বাণিজ্যিকভাবে গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেখানে গ্যাসের মজুত ও বিস্তৃতি মূল্যায়নের জন্য আরও দুটি কূপ (একটি উন্নয়ন ও একটি অনুসন্ধান) খননের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের (এসজিএফএল) আওতায় হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে সিলেট-১০ কূপ খননের সময় জ্বালানি তেলের উপস্থিতির প্রমাণ মিলেছে। বাণিজ্যিকভাবে উত্তোলন নিশ্চিত করতে সিলেট-১২ তেল কূপ খননের কাজ চলছে।

দেশের বৃহত্তম দ্বীপ ভোলায় গ্যাস মজুত মূল্যায়নের জন্য আরও ১৯টি নতুন কূপ খননের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। সেখানে প্রাপ্ত গ্যাস ভোলায় প্রতিষ্ঠিতব্য ইন্ডাস্ট্রিয়াল হাবে সরবরাহ করা হবে, যা দক্ষিণাঞ্চলের শিল্পায়ন ও কর্মসংস্থানে বড় ভূমিকা রাখবে বলে আশা করছে পেট্রোবাংলা।

এছাড়া তিতাস, বাখরাবাদ, শ্রীকাইল ও মোবারকপুর গ্যাস ফিল্ডে মোট চারটি গভীর কূপ খনন করা হচ্ছে। এসব স্থানে গভীর স্তরে গ্যাসের মজুত মূল্যায়নের কাজ চলছে। একই সঙ্গে বাপেক্স, বিজিএফসিএল ও এসজিএফএল নিজ নিজ ব্লকে নতুন সম্ভাব্য কূপের অবস্থান চিহ্নিত করতে সাইসমিক ডাটা বিশ্লেষণ করছে।

বর্তমানে বাপেক্সের পাঁচটি রিগ এবং টার্ন কি পদ্ধতিতে নিয়োজিত ঠিকাদারদের তিনটি রিগসহ মোট আটটি রিগ খনন কাজ চালাচ্ছে। আগামী ২৭ নভেম্বর থেকে তিতাস-২৮ উন্নয়ন কূপের খনন শুরু হবে, আর ২০২৬ সালের জানুয়ারিতে তিতাস-৩১ ডিপ অনুসন্ধান কূপের কাজ শুরু হবে বলে জানায় প্রতিষ্ঠানটি।

ভোলা এলাকায় পাঁচটি নতুন কূপ খননের জন্য বাপেক্স ও ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শিগগিরই চুক্তি স্বাক্ষরিত হবে। ২০২৬ সালের জানুয়ারির মধ্যে মোট ১১টি রিগ একযোগে খনন কার্যক্রমে অংশ নেবে।

বাপেক্সের সক্ষমতা বাড়াতে আরও দুটি নতুন রিগ কেনার প্রক্রিয়া চলছে।

পেট্রোবাংলা আশা করছে, ১১টি কূপের খনন সফলভাবে সম্পন্ন হলে দৈনিক প্রায় ১৪৩ মিলিয়ন ঘনফুট অতিরিক্ত গ্যাস সরবরাহ সম্ভব হবে। এতে দেশীয় উৎস থেকে উৎপাদিত গ্যাসের সরবরাহ বৃদ্ধি পাবে, বিদ্যমান গ্যাস সংকট কমবে এবং অর্থনীতিতে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।