বিনোদন ডেস্ক: তামান্না ভাটিয়া কেবল দক্ষিণ ভারতের সিনেমার জনপ্রিয় মুখ নয়। তিনি একজন সফল অভিনেত্রী হওয়ার পাশাপাশি ব্র্যান্ড পার্টনার, উদ্যোক্তা এবং ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় অংশগ্রহণকারী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। তার ক্যারিয়ার এবং বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সঙ্গে অংশীদারিত্ব প্রমাণ করছে যে শুধুমাত্র স্টারডমই নয়, ব্যবসায়িক সিদ্ধান্তও একজন সেলিব্রিটির দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব নির্ধারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।
তিনি সম্প্রতি কর্ণাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্টস লিমিটেডের সঙ্গে দুই বছরের জন্য ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে চুক্তি করেছেন। এই চুক্তির মূল্য ছয় কোটি বাইশ লাখ টাকা। ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে এটি কেবল একটি প্রচারণা নয়, বরং কর্ণাটক স্যান্ডাল সোাপকে দক্ষিণ ভারত থেকে জাতীয় বাজারে সম্প্রসারণের পরিকল্পনার অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে তিনি শিসেইডোর ভারতীয় ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে নিয়োগপ্রাপ্ত হয়েছেন। এই পদক্ষেপ কসমেটিকস মার্কেটে ব্র্যান্ডের মান বৃদ্ধিতে এবং গ্রাহকসংখ্যা সম্প্রসারণে সহায়ক।
তামান্না শুধু ব্র্যান্ডের মুখ হিসেবেই সীমাবদ্ধ থাকেননি। তিনি সুগার কসমেটিকস কোম্পানিতে অংশীদারিত্ব গ্রহণ করেছেন এবং উদ্যোক্তা হিসেবে ব্যবসায়িক দিকনির্দেশনায় সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন। এটি তার ব্যবসায়িক দক্ষতা এবং ব্যবসার সঙ্গে সরাসরি সংযুক্ত থাকার মনোভাব প্রতিফলিত করছে।
তামান্নার সিনেমা জীবন এবং ব্যবসার সংযোগও উল্লেখযোগ্য। মহাকাব্যিক সিনেমা ‘বাহুবলী’ সিরিজের মাধ্যমে তিনি জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক স্তরে পরিচিতি লাভ করেছেন। এই পরিচিতি তার ব্র্যান্ড পার্টনারশিপের মান বৃদ্ধি করেছে এবং তাকে বিভিন্ন সংস্থার জন্য আদর্শ মুখে পরিণত করেছে। প্রাইম ভিডিওতে সম্প্রচারিত সিরিজ ‘ডু ইউ ওয়ান্ট টু পার্টনার’-এ তিনি একজন স্টার্টআপ উদ্যোক্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যা তার ব্যবসায়িক দৃষ্টিভঙ্গি এবং উদ্যোক্তা মনোভাবকে ফুটিয়ে তুলেছে।
কিছু চ্যালেঞ্জও রয়েছে। কর্ণাটক সোপস অ্যান্ড ডিটারজেন্টস লিমিটেডের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হিসেবে নিয়োগ নিয়ে কিছু রাজনৈতিক এবং সাংস্কৃতিক আপত্তি উঠেছে। এছাড়া অভিনয়, ব্র্যান্ড অংশীদারিত্ব এবং উদ্যোক্তা কার্যক্রমের ভারসাম্য বজায় রাখা তার জন্য চ্যালেঞ্জ। তবে তার প্যান-ইন্ডিয়া জনপ্রিয়তা এবং বাজারে গ্রহণযোগ্যতা তাকে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় শক্তিশালী অবস্থানে রাখছে।
তার কাজ থেকে স্পষ্ট হয় যে এক একজন সেলিব্রিটি শুধুমাত্র স্টারডমের মাধ্যমে নয়, বরং ব্যবসায়িক জ্ঞান, ব্র্যান্ড নির্বাচনের কৌশল এবং উদ্যোক্তা মনোভাবের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব তৈরি করতে পারে। তামান্না ভাটিয়া এভাবেই বিনোদন এবং ব্যবসার মিলনের এক সফল উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছেন। তার স্টারডম, ব্র্যান্ড পার্টনারশিপ এবং উদ্যোক্তা উদ্যোগ তাকে এক নতুন ধরনের ব্র্যান্ড আইকন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছে।










