যাত্রীদের দিতে হবে অতিরিক্ত লেভি
এভিয়েশন ডেস্ক: সিঙ্গাপুর বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বিমানযাত্রীদের ওপর ‘সবুজ জ্বালানি কর’ বা সাস্টেইনেবল অ্যাভিয়েশন ফুয়েল লেভি আরোপ করতে যাচ্ছে। দেশটির সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি সম্প্রতি নিশ্চিত করেছে যে, সিঙ্গাপুর থেকে অন্য দেশে যাত্রা করা সব যাত্রীর জন্য এই কর কার্যকর হবে।
সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি জানিয়েছে, ২০২৬ সালের মধ্যে এক শতাংশ সবুজ জ্বালানি ব্যবহার নিশ্চিত করতে যে পরিমাণ সবুজ জ্বালানি প্রয়োজন হবে এবং প্রচলিত জ্বালানির তুলনায় সবুজ জ্বালানি-এর অতিরিক্ত মূল্যসহ সংশ্লিষ্ট খরচ হিসাব করে এই লেভি নির্ধারণ করা হয়েছে।
কত লাগবে কর? দূরত্বভিত্তিক চারটি ব্যান্ড
ফ্লাইটের দূরত্ব অনুযায়ী যাত্রীদের চারটি ভৌগোলিক ব্যান্ডে ভাগ করা হয়েছে।
ব্যান্ড–৪
ইউরোপ, আফ্রিকা, মধ্য ও পশ্চিম এশিয়া, মধ্যপ্রাচ্য, প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জ ও নিউজিল্যান্ড
- ইকোনমি (প্রিমিয়াম ইকোনমি সহ): ৬.৪০ সিঙ্গাপুর ডলার
- বিজনেস/ফার্স্ট ক্লাস: ২৫.৬০ সিঙ্গাপুর ডলার
- ব্যান্ড–৫ (আমেরিকা মহাদেশ)
- ইকোনমি: ১০.৪০ ডলার
- প্রিমিয়াম ক্যাবিন: ৪১.৬০ ডলার
- ব্যান্ড–২ (উত্তর-পূর্ব এশিয়া, দক্ষিণ এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, পাপুয়া নিউগিনি)
- ইকোনমি: ৩.৮০ ডলার
- প্রিমিয়াম: ১১.২০ ডলার
- ব্যান্ড–১ (দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া)
- ইকোনমি: ১ ডলার
- প্রিমিয়াম: ৪ ডলার
ট্রানজিট যাত্রীদের ক্ষেত্রে কী হবে?
যাত্রাপথে একাধিক স্টপ থাকলেও শুধু সিঙ্গাপুর ছাড়ার পরের প্রথম গন্তব্যের জন্যই সবুজ জ্বালানি লেভি প্রযোজ্য হবে।
উদাহরণ: সিঙ্গাপুর থেকে আমস্টারডাম হয়ে প্যারিসে গেলে কেবল সিঙ্গাপুর–আমস্টারডাম অংশের জন্য কর দিতে হবে।
এয়ারলাইনগুলোকে এই লেভি টিকিটে আলাদা লাইন আইটেম হিসেবে দেখাতে হবে। প্রশিক্ষণ ফ্লাইট বা মানবিক ও দাতব্য কাজে ব্যবহৃত ফ্লাইটে এ কর প্রযোজ্য হবে না।
টেকসই আকাশপথ নির্মাণে সিঙ্গাপুর
গত বছর সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি ‘সিঙ্গাপুর সাস্টেইনেবল এয়ার হাব ব্লুপ্রিন্ট’ প্রকাশ করে। এতে ২০১৯ সালের তুলনায় ২০৩০ সালের মধ্যে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ নিঃসরণ ২০ শতাংশ কমানো এবং ২০৫০ সালের মধ্যে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক উড়োজাহাজ খাতে নেট-জিরো নিঃসরণ অর্জনের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
সিভিল অ্যাভিয়েশন অথরিটি-এর ডিরেক্টর-জেনারেল হান হক জুয়ান বলেছেন, নতুন নিয়ম সিঙ্গাপুরকে আরও টেকসই ও প্রতিযোগিতামূলক এয়ার হাবে রূপান্তরে বড় পদক্ষেপ।
তিনি বলেন, “সবাইকে একটি গ্রহণযোগ্য খরচে টেকসইতায় অংশগ্রহণের সুযোগ দিতে আমরা এটি করেছি। আমাদের শুরু করতে হবে এবং আমরা তা পরিমিতভাবে করেছি, যাতে শিল্প, ব্যবসা ও জনগণ মানিয়ে নেওয়ার সময় পায়।”










