বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের খ্যাতনামা কোরিওগ্রাফার ও চলচ্চিত্র নির্মাতা ফারাহ খান সাম্প্রতিক সময়ে শুধু তার কাজের জন্যই নয়, বরং তার ইউটিউব ভিডিও ব্লগগুলোর জনপ্রিয়তা নিয়েও আলোচনায় রয়েছেন। এমনকি তার বাসার রাঁধুনি দিলীপও এখন তার ভিডিওতে নিয়মিত উপস্থিতির কারণে এক পরিচিত মুখে পরিণত হয়েছেন।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, সম্প্রতি ফারাহ খান এক ইন্টারনেট রেডিও পডকাস্টে ইউটিউব ভ্লগিং থেকে তাঁর আয় সম্পর্কে খোলামেলা বক্তব্য দিয়েছেন। অভিনেত্রী সোহা আলি খানের পডকাস্টে তিনি জানান, বহুদিন ধরে টিমের অনুরোধে তিনি ইউটিউব শুরু করেন এবং চেয়েছিলেন এটি খাবারকে কেন্দ্র করে সাজানো একটি চ্যানেল হোক।
ইউটিউব থেকে ক্যারিয়ারের তুলনায় বেশি আয়
ফারাহ বলেন,
“আমি আমার পুরো ক্যারিয়ারে, এতগুলো ছবি পরিচালনা করার পরও, এক বছরে যত আয় করিনি, তার চেয়েও বেশি আয় করেছি ইউটিউব থেকে।”
তার ভাষায়, ইউটিউবে তিনি সম্পূর্ণ স্বাধীন। কোনো ওটিটি প্ল্যাটফর্ম, প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বা টেলিভিশন চ্যানেলের চাপ নেই। তাকে বলা হয় না যে কোন দৃশ্য বাদ দিতে হবে, বা কোন অতিথি আনা যাবে।
“আমি এই শ্রেণিবিভাজন ঘৃণা করি—একজনকে বড় তারকা বলা হবে, আর আরেকজনকে কম গুরুত্ব দেওয়া হবে। আমার চ্যানেলে এমন বৈষম্য নেই।”
ইতিমধ্যে ফারাহ খানের ইউটিউব চ্যানেল সিলভার প্লে বাটন পেয়েছে।
‘খানসামা দিলীপ’কে ঘিরে ভাইরাল শুরু
ফারাহ জানান, তিনি এপ্রিল ২০২৪-এ ভিডিও পোস্ট করা শুরু করেন। প্রথম সিরিজ ছিল তার এবং রাঁধুনি দিলীপের রান্নার ভিডিও, যা খুব দ্রুত ভাইরাল হয়ে যায়। সেই সিরিজই তাকে ব্যাপক জনপ্রিয়তা এনে দেয়।
বর্তমানে তার ইউটিউবে প্রায় ৩ মিলিয়ন এবং ইনস্টাগ্রামে ৪.৫ মিলিয়ন ফলোয়ার।
কেন হঠাৎ ইউটিউব?
৬০ বছর বয়সী ফারাহ খান Kajol ও Twinkle Khanna–র এক শোতে জানান, ইউটিউব শুরু করার পেছনে ব্যক্তিগত একটি কারণও ছিল।
“যখন কোনো চলচ্চিত্র তৈরি হচ্ছিল না, আমি কোনো ছবির নির্দেশনাও দিচ্ছিলাম না। আমার তিন সন্তান বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছে, খরচও অনেক বেড়েছে। তখন মজা করে ভাবলাম, একটা শো করি। আর সেটাই দারুণভাবে চলল।”
তিনি আরও বলেন, ‘হ্যাপি নিউ ইয়ার’–এর পর গত ১১ বছর তিনি কোনো চলচ্চিত্র পরিচালনা করেননি।
বিখ্যাত ছবির নির্মাতা
ফারাহ খান ‘ম্যায় হুঁ না’, ‘ওম শান্তি ওম’ এবং ‘তিস মার খান’–এর মতো জনপ্রিয় বলিউড ছবির পরিচালক হিসেবে পরিচিত। দীর্ঘ অভিজ্ঞতা নিয়ে নতুন যুগে তিনি ইউটিউবকে বেছে নিয়েছেন নিজের সৃজনশীলতা ও যোগাযোগের মাধ্যম হিসেবে।
এই যাত্রা তার ক্যারিয়ারের এক নতুন অধ্যায় তৈরি করেছে।










