রেখে গেছেন ৪৬০ কোটি টাকার সম্পদ
বিনোদন ডেস্ক: বলিউডের সোনালী অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি। কোটি ভক্তকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ভারতীয় সিনেমার কিংবদন্তি অভিনেতা ও ‘হি-ম্যান’ খ্যাত ধর্মেন্দ্র। সোমবার (২৪ নভেম্বর) সকালে ৮৯ বছর বয়সে মুম্বাইয়ে নিজ বাসভবনে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
শেষ হলো জীবনযুদ্ধ
জানা গেছে, গত অক্টোবরের শেষের দিকে শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যার কারণে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল বর্ষীয়ান এই অভিনেতাকে। দীর্ঘ চিকিৎসা শেষে মাত্র ১২ দিন আগেই বাড়ি ফিরেছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না; সোমবার সকালেই নিভে গেল এই মহাতারকার জীবনপ্রদীপ। তবে দেওল পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো বিবৃতি পাওয়া যায়নি।
কৃষক পরিবার থেকে মহাতারকা
১৯৩৫ সালে পাঞ্জাবের লুধিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন ধর্মেন্দ্র, যার প্রকৃত নাম ধর্মসিং দেওল। একটি সাধারণ কৃষক পরিবারের সন্তান হয়েও ছোটবেলা থেকেই সিনেমার প্রতি ছিল তাঁর অদম্য টান। ১৯৬০ সালে ফিল্মফেয়ার ট্যালেন্ট হান্ট প্রতিযোগিতায় বিজয়ী হয়ে মুম্বাইয়ে পা রাখেন তিনি। ১৯৬৬ সালে ‘ফুল অউর পাথর’ সিনেমাটি তাঁকে রাতারাতি তারকাখ্যাতি এনে দেয় এবং তিনি পরিচিতি পান বলিউডের ‘হি-ম্যান’ হিসেবে। এরপর টানা দুই দশক ধরে তিনি ছিলেন হিন্দি সিনেমার অপ্রতিদ্বন্দ্বী নায়ক।
রেখে গেলেন বিশাল সাম্রাজ্য
দীর্ঘ ক্যারিয়ারে শুধু খ্যাতিই নয়, গড়েছেন বিপুল সম্পদও। এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী, ধর্মেন্দ্র প্রায় ৩৩৫ কোটি রুপি (বাংলাদেশি মুদ্রায় ৪৬০ কোটি টাকার বেশি) সম্পদের মালিক। তাঁর রেখে যাওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে:
- লোনাভালায় প্রায় ১০০ কোটি রুপি মূল্যের বিশাল ফার্মহাউস।
- নয়া দিল্লি ও কারনালে দুটি বিলাসবহুল রেস্তোরাঁ।
- মহারাষ্ট্রে প্রায় ১৭ কোটি রুপি মূল্যের জমি।
- প্রায় ২ কোটি রুপি মূল্যের ভিন্টেজ গাড়ির শৌখিন সংগ্রহ।
এছাড়া ‘বিজেতা ফিল্মস’ নামে তাঁর নিজস্ব প্রযোজনা সংস্থা রয়েছে, যেখান থেকে তাঁর দুই ছেলে সানি দেওল ও ববি দেওলের ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল।
শোকস্তব্ধ বলিউড
ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুতে শোকে মুহ্যমান পুরো বলিউড। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শোক প্রকাশ করে খ্যাতনামা পরিচালক করণ জোহর লিখেছেন, “একটি যুগের অবসান। তিনি ছিলেন মূলধারার সিনেমায় একজন নায়কের মূর্ত প্রতীক। অসাধারণ সুদর্শন এবং পর্দায় কালজয়ী উপস্থিতির অধিকারী এই মানুষটি ভারতীয় সিনেমার প্রকৃত কিংবদন্তি ছিলেন এবং থাকবেন।”
ধর্মেন্দ্রর প্রয়াণে ভারতীয় চলচ্চিত্র হারাল তার অন্যতম উজ্জ্বল নক্ষত্রকে, যার শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়।










