জানুন খাওয়ার সঠিক নিয়ম
হেলথ ডেস্ক: বাঙালি রান্নায় আদা একটি অপরিহার্য মসলা। রোজকার রান্নায় স্বাদ ও গন্ধ বাড়াতে এর জুড়ি মেলা ভার। কিন্তু আপনি কি জানেন, সাধারণ এই মসলাটি কেবল স্বাদের জন্য নয়, লিভারের জটিল সব অসুখ সারাতেও জাদুকরী ভূমিকা রাখে? বিশেষ করে বর্তমান সময়ে ঘরে ঘরে বেড়ে চলা ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিরাময়ে আদা অত্যন্ত কার্যকরী। শুধু তাই নয়, লিভার সিরোসিস থেকে শুরু করে হজমের গোলমাল—সব ক্ষেত্রেই আদা হতে পারে প্রাকৃতিক সমাধান।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ-এর একটি গবেষণাপত্রে বলা হয়েছে, আদায় ‘জিঞ্জেরল’ (Gingerol) নামক এক প্রকার শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রদাহনাশক হিসেবে কাজ করে। আদার এই বিশেষ উপাদান শরীরে ফ্যাট বিপাকে সহায়তা করে, যা লিভারে জমে থাকা চর্বি গলাতে সরাসরি ভূমিকা রাখে।
ঋতু পরিবর্তনের সময় খুসখুসে কাশি, বমি ভাব কিংবা দীর্ঘ যাত্রাপথে শারীরিক অস্বস্তি কাটাতে আদার ব্যবহার পুরোনো। তবে লিভার ভালো রাখতে এটি কীভাবে খাবেন, তা অনেকেরই অজানা। লিভার সুস্থ রাখতে আদা খাওয়ার ৪টি কার্যকরী উপায় নিচে তুলে ধরা হলো:
১. আদা-লেবুর জল
শরীরের টক্সিন বের করতে এই পানীয় দারুণ কার্যকরী। এক গ্লাস ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য থেঁতো করা আদা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। জল কিছুটা ঠান্ডা হলে তাতে লেবুর রস মিশিয়ে সকালে খালি পেটে পান করুন। এটি বিপাক হার বাড়ায় এবং ফ্যাটি লিভারের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
২. আদা-হলুদের চা
লিভারের প্রদাহ কমাতে হলুদ ও আদার মিশ্রণ ওষুধের মতো কাজ করে। এক কাপ জলে কাঁচা হলুদ বাটা (বা আধা চামচ গুঁড়ো হলুদ) এবং এক ইঞ্চি পরিমাণ থেঁতো করা আদা দিয়ে ফোটান। এরপর ছেঁকে পান করুন। লিভার সিরোসিসের ঝুঁকি কমাতে এই পানীয় সহায়ক হতে পারে।
৩. আদা ও মৌরির চা
ফ্যাটি লিভারের কারণে অনেকেরই গ্যাস, অম্বল বা পেট ফাঁপার সমস্যা দেখা দেয়। এ ক্ষেত্রে এক গ্লাস গরম জলে গোটা মৌরি ও থেঁতো করা আদা দিয়ে ফুটিয়ে চায়ের মতো পান করুন। ভারী খাবারের পর এই পানীয় খেলে দ্রুত হজম হয় এবং পেটের অস্বস্তি কমে।
৪. আদা-পুদিনার ডিটক্স
পেট ঠান্ডা রাখতে এবং লিভার সতেজ রাখতে এই পানীয়টি বেশ উপকারী। এক গ্লাস জলে থেঁতো করা আদা ও একমুঠো পুদিনা পাতা দিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। এরপর ছেঁকে ঠান্ডা করে পান করুন। এটি লিভার ডিটক্স করতে সাহায্য করে।
নিয়মিত সঠিক উপায়ে আদা খাওয়ার অভ্যেস করলে লিভারের সুস্থতা নিশ্চিত করার পাশাপাশি সামগ্রিক শারীরিক সুস্থতাও বজায় থাকে।










