Home First Lead ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: মাঠে নামছে মোবাইল কোর্ট

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচন: মাঠে নামছে মোবাইল কোর্ট

ছবি: এ আই

 

 প্রতি থানায় ২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ পর্যায়ে কঠোর অবস্থান নিশ্চিত করার প্রস্তুতি শুরু করেছে বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন (ইসি)। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন ঠেকাতে সারা দেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত (মোবাইল কোর্ট) পরিচালনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

এ লক্ষ্যে আজ বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে প্রতি উপজেলা ও থানায় অন্তত দুজন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।

নির্দেশনায় যা বলা হয়েছে
ইসির চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রস্তুতিকাজ চলমান রয়েছে। নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করতে মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯-এর আওতায় তফসিল ঘোষণার পরদিন থেকে ভোটগ্রহণের দুই দিন পর পর্যন্ত সময়ের জন্য মাঠ পর্যায়ে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা প্রয়োজন।

কমিশনের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, দেশের প্রতিটি উপজেলা এবং থানায় ন্যনতম ০২ (দুই) জন করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ দিতে হবে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আচরণবিধিতে ‘জিরো টলারেন্স’ বার্তা
সাধারণত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকেই সম্ভাব্য প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারণায় নেমে পড়েন। অতীতে দেখা গেছে, শোডাউন, মিছিল এবং আগাম প্রচারণায় আচরণবিধি লঙ্ঘনের মহোৎসব চলে। এবার তফসিলের ঠিক ‘পরদিন’ থেকেই প্রতি থানায় দুজন করে ম্যাজিস্ট্রেট নামানোর সিদ্ধান্ত এটাই প্রমাণ করে যে, ইসি শুরু থেকেই মাঠের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে রাখতে চায়।

মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯-এর আওতায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা তাৎক্ষণিক শাস্তি ও জরিমানা করার ক্ষমতা রাখেন। ফলে প্রার্থীরা আচরণবিধি ভঙ্গ করলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হবে।

প্রশাসনিক প্রস্তুতি
চিঠির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধান উপদেষ্টার মুখ্য সচিব, পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) এবং সব বিভাগীয় কমিশনার ও জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পাঠানো হয়েছে। এর মাধ্যমে ইসি প্রশাসনের সব স্তরে নির্বাচনের বার্তা পৌঁছে দিয়েছে এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রস্তুত থাকার সংকেত দিয়েছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় এখন ইসির চাহিদা অনুযায়ী ম্যাজিস্ট্রেটদের তালিকা চূড়ান্ত করবে এবং তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে তাদের পদায়ন নিশ্চিত করবে। নির্বাচন কমিশনের এই পদক্ষেপ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনের পথে একটি ইতিবাচক ও কঠোর বার্তা হিসেবেই দেখছেন সংশ্লিষ্টরা।