আসন জট খুলতে ১৭-১৮ ডিসেম্বর ‘ফাইনাল মিশন’
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: আসন্ন সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোটের অন্দরের মান-অভিমান আর আসন ভাগাভাগির জটিল সমীকরণ মেলাতে এবার চূড়ান্ত অভিযানে নামছে বিএনপি। আগামী ১৭ ও ১৮ই ডিসেম্বর—এই দুই দিনকে ‘মেগা ডে’ হিসেবে বেছে নিয়েছে দলটি। লক্ষ্য একটাই, যুগপৎ আন্দোলনের শরিকদের সঙ্গে সরাসরি বসে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত করা এবং ক্ষোভ প্রশমন করা।
জাতীয় সরকারের প্রতিশ্রুতি
কেবল আসন ছাড় নয়, ক্ষমতায় গেলে শরিকদের নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের বড় বার্তাও দেওয়া হয়েছে। গুলশানে চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে ২৯টি সমমনা দলের সঙ্গে ম্যারাথন বৈঠকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা এই আশ্বাস দেন। বার্তাটি স্পষ্ট—ভোটের মাঠে লড়াই বা সরকার গঠন, সবখানেই শরিকদের মূল্যায়ন করতে চায় বিএনপি।
উইনাবিলিটি বনাম সিনিয়রিটি
আসন ভাগের ক্ষেত্রে এবার আবেগের চেয়ে বাস্তবতাকে প্রাধান্য দিচ্ছে বিএনপি। সূত্র বলছে, কেবল জোটের বড় নেতা হলেই মনোনয়ন মিলবে না, প্রার্থীর জয়ের সক্ষমতা (Winability) এবং আরপিও (RPO) আইন বিবেচনায় নেওয়া হবে। তবে যেসব সিনিয়র নেতার জনসমর্থন কম কিন্তু দলের জন্য অপরিহার্য, তাদের জন্য সংসদের উচ্চকক্ষ বা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ পদে আসীন করার পরিকল্পনা রাখা হয়েছে।
ক্ষোভ ও প্রত্যাশা
এর আগে শরিকদের সঙ্গে আলোচনা ছাড়াই দুই দফা দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করায় বিএনপির ওপর চটেছিলেন জোট নেতারা। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক ও ১২ দলীয় জোটের সৈয়দ এহসানুল হুদা জানান, সেই দূরত্ব ঘোচাতেই আগামী দুই দিনের এই বৈঠক। গণঅধিকার পরিষদের রাশেদ খান ও এনপিপি’র ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদও নিশ্চিত করেছেন, বিএনপি এবার প্রতিশ্রুতি রক্ষায় ইতিবাচক মনোভাব দেখাচ্ছে। ১৭ ও ১৮ ডিসেম্বরের বৈঠক থেকেই চূড়ান্ত ফয়সালা আসবে বলে আশা করা হচ্ছে।
❓ শরিকদের নিয়ে ‘জাতীয় সরকার’ গঠনের এই ফর্মুলা কি আগামী রাজনীতিতে স্থিতিশীলতা আনতে পারবে? নাকি এটি কেবল ভোটের বৈতরণী পার হওয়ার কৌশল? কমেন্ট করে আপনার সুচিন্তিত মতামত জানান। প্রতিবেদনটি শেয়ার করুন রাজনৈতিক সচেতন বন্ধুদের সঙ্গে।










