এভিয়েশন ডেস্ক: তুরস্ক সফর শেষে দেশে ফেরার পথে এক ভয়াবহ বিমান দুর্ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন লিবিয়ার সেনাপ্রধান জেনারেল মোহাম্মদ আলী আহমেদ আল-হাদাদ। মঙ্গলবার (২৩ ডিসেম্বর) রাতে আঙ্কারার কাছে এই দুর্ঘটনা ঘটে। লিবিয়ার প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দবেইবা এই শোকাবহ খবরটি নিশ্চিত করেছেন।
নিহতদের পরিচয়: বিমানটিতে সেনাপ্রধানের সঙ্গে থাকা আরও চারজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তাঁরা হলেন: ১. জেনারেল আল-ফিতুরি ঘরাইবিল (স্থলবাহিনীর প্রধান)। ২. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মাহমুদ আল-কাতওয়ানি (মিলিটারি ম্যানুফ্যাকচারিং অথরিটির পরিচালক)। ৩. মোহাম্মদ আল-আসাওয়ি দিয়াব (সেনাপ্রধানের উপদেষ্টা)। ৪. মোহাম্মদ ওমর আহমেদ (সামরিক আলোকচিত্রী)।
দুর্ঘটনার বিবরণ: তুর্কি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আলী ইয়ারলিকায়া জানিয়েছেন, ‘ফ্যালকন ৫০’ মডেলের প্রাইভেট জেটটি আঙ্কারার এসেনবোগা বিমানবন্দর থেকে উড্ডয়ন করার প্রায় ৪২ মিনিট পর রাডার থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিখোঁজ হওয়ার আগে বিমানটি যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে জরুরি অবতরণের সংকেত পাঠিয়েছিল। পরবর্তীতে আঙ্কারার কাছে হাইমানা জেলার কেসিককাভাক গ্রামের দক্ষিণ পাশে বিমানটির ধ্বংসাবশেষ পাওয়া যায়।
শোক ও তদন্ত: প্রধানমন্ত্রী আবদুল হামিদ দবেইবা এই ঘটনাকে জাতির জন্য এক ‘অপরণীয় ক্ষতি’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। তিনি বলেন, লিবিয়া তারনিষ্ঠাবান এবং দেশপ্রেমিক সামরিক নেতাদের হারিয়েছে। এই দুর্ঘটনার কারণ খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যে তদন্ত শুরু হয়েছে। প্রাথমিক ধারণা অনুযায়ী, যান্ত্রিক ত্রুটি (ইলেকট্রিক্যাল ফেইলর) থেকেই এই বিপর্যয় ঘটেছে।
লিবিয়ার জাতিসংঘ সমর্থিত সরকারের সঙ্গে তুরস্কের দীর্ঘদিনের সামরিক ও রাজনৈতিক সুসম্পর্ক রয়েছে। এই সফরের অংশ হিসেবে সেনাপ্রধান আল-হাদাদ তুরস্কের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এবং সেনাপ্রধানের সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে অংশ নিয়েছিলেন।
The wreckage of a Tripoli-bound private jet carrying Libya’s Chief of General Staff has been found south of Ankara, Türkiye’s interior minister said. The aircraft sent an emergency landing signal near Haymana before contact was lost.
The Libyan government has confirmed that its… pic.twitter.com/YaryMdtGe9
— TRT World (@trtworld) December 23, 2025










