Home অপরাজিতা নারীর সুস্থতায় অপরিহার্য পুষ্টি

নারীর সুস্থতায় অপরিহার্য পুষ্টি

রক্তস্বল্পতা ও হাড়ের ক্ষয় রোধে সচেতনতা জরুরি

হেলথ ডেস্ক: বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নারীস্বাস্থ্যের অন্যতম প্রধান অন্তরায় হিসেবে দেখা দিয়েছে সঠিক পুষ্টির অভাব। বিশেষ করে প্রজননক্ষম বয়স থেকে শুরু করে মধ্যবয়স পর্যন্ত নারীদের শরীরে আয়রন, ক্যালসিয়াম এবং ফলিক অ্যাসিডের ঘাটতি জনস্বাস্থ্যের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিকিৎসকদের মতে, পুরুষদের তুলনায় নারীদের শারীরিক গঠন এবং জীবনচক্রের ভিন্নতার কারণে তাদের পুষ্টির চাহিদা অনেক বেশি এবং নির্দিষ্ট কিছু উপাদানের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন।

দেশের নারীস্বাস্থ্যের একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে রক্তস্বল্পতা বা অ্যানিমিয়ার প্রকোপ। অপুষ্টি এবং সচেতনতার অভাবে বিপুল সংখ্যক নারী প্রয়োজনীয় আয়রন গ্রহণ করতে পারছেন না। চিকিৎসকরা জানান, রক্তস্বল্পতা দূর করতে দৈনন্দিন খাদ্যতালিকায় কচু শাক, কলিজা, ডালিম ও লাল শাকের মতো আয়রনসমৃদ্ধ খাবারের উপস্থিতি নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি। আয়রন শোষণের সুবিধার্থে খাবারের সঙ্গে ভিটামিন-সি যুক্ত করার পরামর্শও দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

অন্যদিকে, বয়স ৩০ বছর পার হওয়ার পর নারীদের ক্ষেত্রে হাড়ের ঘনত্ব কমতে শুরু করা একটি নীরব সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। পর্যাপ্ত ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন-ডি এর অভাবে অনেক নারী অস্টিওপোরোসিসের মতো জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। হাড়ের ক্ষয় রোধে দুধ ও দুগ্ধজাত খাবার, ছোট মাছ এবং নিয়মিত গায়ে রোদ লাগানোর মাধ্যমে ভিটামিন-ডি নিশ্চিত করার ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া ভ্রূণের সঠিক বিকাশে এবং নারীদের দীর্ঘমেয়াদী সুস্থতায় ফলিক অ্যাসিডের ভূমিকা অনস্বীকার্য।

বিশেষজ্ঞদের মতে, নারীরা পারিবারিক পুষ্টির দিকে নজর দিলেও অনেক সময় নিজেদের স্বাস্থ্যের ব্যাপারে উদাসীন থাকেন। অথচ একজন সুস্থ নারীই পারেন একটি সুস্থ সমাজ উপহার দিতে। তাই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন এনে সুষম খাবার গ্রহণ এবং নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার মাধ্যমে এই পুষ্টিগত ঘাটতিগুলো পূরণ করা সম্ভব বলে মনে করছেন স্বাস্থ্য সংশ্লিষ্টরা।