বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, সিলেট: সিলেট-৬ (গোলাপগঞ্জ-বিয়ানীবাজার) আসনে ধানের শীষের টিকিট নিয়ে লড়াইয়ে নতুন মোড় নিয়েছে। জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমদ চৌধুরীর পর এবার দলীয় মনোনয়ন পেলেন সিলেট জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি ও ২০১৮ সালের প্রার্থী ফয়সল আহমদ চৌধুরী।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে তাকে এই মনোনয়ন প্রদান করা হয়, যা রোববার রাতে জানাজানি হয়। ফয়সল আহমদের মিডিয়া সেল থেকে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
এর আগে, মনোনয়ন ঘোষণার প্রথম ধাপে এমরান আহমদ চৌধুরীকে একক প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছিল বিএনপি। দলের সবুজ সংকেত পেয়ে এমরান মাঠপর্যায়ে প্রচার-প্রচারণাও শুরু করে দিয়েছিলেন। তবে আকস্মিকভাবে ফয়সল আহমদ চৌধুরীকে মনোনয়ন দেওয়ায় তৃণমূলের নেতাকর্মীদের মাঝে নতুন করে আলোচনার জন্ম দিয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের নির্বাচনে ফয়সল আহমদ চৌধুরী আওয়ামী লীগের হেভিওয়েট প্রার্থী নুরুল ইসলাম নাহিদের সাথে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই করে আলোচনায় এসেছিলেন। প্রথম ধাপে বাদ পড়লেও তিনি মাঠে সক্রিয় ছিলেন, যার ফলশ্রুতিতে দ্বিতীয় পর্যায়ে তাকেও মনোনয়নের চিঠি দেওয়া হলো।
কেন এই কৌশল? বিএনপির কেন্দ্রীয় সূত্র বলছে, এটি দলের একটি ‘ব্যাকআপ স্ট্র্যাটেজি’ বা বিকল্প কৌশল। আইনি জটিলতা কিংবা কোনো প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল হওয়ার ঝুঁকি এড়াতেই কৌশলগত কারণে একাধিক নেতাকে চিঠি দেওয়া হচ্ছে।
সিলেট বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক জিকে গৌছ এ বিষয়ে বলেন: “কয়েকটি আসনে দলের দুইজন নেতাকে মনোনয়নপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে। এটি আমাদের কৌশলগত সিদ্ধান্ত। আগামী ২১ জানুয়ারি প্রতীক বরাদ্দের আগে একজন প্রার্থী প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেবেন এবং শেষ পর্যন্ত দলীয প্রতীকে একজনই মাঠে থাকবেন।”
আজ মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। জানা গেছে, এমরান আহমদ চৌধুরী এবং ফয়সল আহমদ চৌধুরী—উভয়ই রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন এবং আজ তা জমা দেওয়ার কথা রয়েছে।
গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজারের সাধারণ ভোটারদের নজর এখন ২১ জানুয়ারির দিকে। শেষ পর্যন্ত কে থাকছেন ধানের শীষের চূড়ান্ত কাণ্ডারি, তা জানতে আরও কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।









