Home আইন-আদালত এমএইচ৩৭০ রহস্য: পরিবারপ্রতি ১.৬৮ মিলিয়ন রিঙ্গিত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ

এমএইচ৩৭০ রহস্য: পরিবারপ্রতি ১.৬৮ মিলিয়ন রিঙ্গিত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ

 এভিয়েশন ডেস্ক: এক দশকেরও বেশি সময় ধরে চলা রহস্য আর অপেক্ষার পর অবশেষে নিখোঁজ মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সের এমএইচ৩৭০ (MH370) ফ্লাইটের চীনা যাত্রীদের পরিবারের পক্ষে রায় দিয়েছে বেইজিংয়ের একটি আদালত। আদালত মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্সকে নির্দেশ দিয়েছে, ক্ষতিপূরণ হিসেবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোকে কেস প্রতি ১.৬৮ মিলিয়ন মালয়েশিয়ান রিঙ্গিতেরও (যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ কোটি ৫০ লাখ টাকার সমান) বেশি অর্থ প্রদান করতে হবে।

আদালতের রায় ও ক্ষতিপূরণ
চীনের বেইজিংয়ের চাওইয়াং ডিস্ট্রিক্ট পিপলস কোর্ট (Chaoyang District People’s Court) আজ সোমবার এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করে। দীর্ঘ আইনি প্রক্রিয়ার পর আদালত জানিয়েছে, বিমানসংস্থার অবহেলা ও যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতার দায় তাদের নিতে হবে। সেই প্রেক্ষিতেই পরিবারপ্রতি এই বিপুল অংকের ক্ষতিপূরণ ধার্য করা হয়েছে।

১০ বছরের আইনি লড়াই
২০১৪ সালের ৮ মার্চ কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে ২৩৯ জন যাত্রী ও ক্রু নিয়ে রহস্যজনকভাবে রাডার থেকে অদৃশ্য হয়ে যায় বোয়িং ৭৭৭ বিমানটি। যাত্রীদের মধ্যে ১৫৩ জনই ছিলেন চীনা নাগরিক। স্বজন হারানোর বেদনার পাশাপাশি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে চীনের আদালতে ক্ষতিপূরণের দাবিতে আইনি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছিলেন ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। অবশেষে সেই লড়াইয়ের একটি সুরাহা হলো।

পরিবারগুলোর প্রতিক্রিয়া
রায়ের পর মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে নিহতদের স্বজনদের মধ্যে। কারো মতে, এই ক্ষতিপূরণ কিছুটা আর্থিক সুরাহা দিলেও স্বজন হারানোর শোক পূরণ করতে পারবে না। আবার কেউ কেউ বলছেন, বিমানটি কেন এবং কোথায় নিখোঁজ হলো, সেই সত্য উদ্ঘাটনই তাদের কাছে সবচেয়ে বড় বিষয়, অর্থ নয়।

প্রেক্ষাপট
ইতিহাসের অন্যতম বড় অমীমাংসিত বিমান দুর্ঘটনা হিসেবে পরিচিত এমএইচ৩৭০। ভারত মহাসাগরের বিস্তীর্ণ এলাকায় বছরের পর বছর তল্লাশি চালানো হলেও বিমানটির মূল ধ্বংসাবশেষ বা ব্ল্যাকবক্সের হদিস মেলেনি। এর আগে ২০২৩ সালের নভেম্বরে বেইজিংয়ের আদালতে নতুন করে শুনানি শুরু হয়েছিল, যার চূড়ান্ত রায় হিসেবে এই ক্ষতিপূরণের আদেশ এলো।

মালয়েশিয়া এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ আদালতের এই রায়ের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেনি।